ফুটবলারদের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে ইরান!
পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অনেক দিন থেকেই উত্তাল ইরান। বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছে নিয়মিতই। বিশ্বকাপেও চলেছে সে ধারা। ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথমে ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীতই গায়নি ইরানি খেলোয়াড়রা। এরমধ্যেই সামনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ। যাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই সেই ১৯৭৯ সাল থেকে। এ ম্যাচে বিতর্কিত কিছু না করতে খেলোয়াড়দের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
আজ মঙ্গলবার ফিফা বিশ্বকাপের 'বি' গ্রুপের ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে ইরান। এ ম্যাচে জয় পেলে নকআউট পর্ব নিশ্চিত হবে দলটির। তার উপর রাজনৈতিক কারণে মার্কিনীদের কাছে হারতে চায় না দেশটি। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার প্রভাব মাঠে পড়লে ফলাফল কেমন হতে পারে তা প্রথম ম্যাচেই দেখা গিয়েছে। তাই ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের 'আচরণ' ঠিকঠাক না হলে ইরানের বিশ্বকাপ ফুটবল দলের পরিবারকে কারাদণ্ড ও নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হয়েছে জানায় সিএনএন। নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র বরাতে বিষয়টি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
গত ২১ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানের খেলোয়াড়রা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার করার পর থেকেই পরিবারদের চাপ দেওয়া শুরু হয়। ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকে ডাকা হয়েছিল খেলোয়াড়দের। সূত্রটি জানায়, তাদের বলা হয়েছিল যে যদি তারা জাতীয় সঙ্গীত না গায় কিংবা তেহরান শাসনের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক প্রতিবাদে যোগ দেয় তাহলে তাদের পরিবার 'সহিংসতা ও নির্যাতনের' সম্মুখীন হবে।
এরপর গত শুক্রবার ওয়েলসের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে জাতীয় সঙ্গীতে অংশ নেন খেলোয়াড়রা। এবং সে ম্যাচে ২-০ গোলের দারুণ এক জয় পায় ইরান। তাতে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা টিকে আছে দলটির। আজ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয় পেলেই প্রথমবারের মতো নকআউট পর্ব খেলবে দলটি।
এদিকে ফুটবলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিরক্ত ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজও। পরবর্তী বিশ্বকাপে রাজনীতির বিষয়ে কম এবং ফুটবলের বিষয়ে আরও বেশি কিছু থাকবে বলে আশা করছেন তিনি, 'এই বিশ্বকাপকে ঘিরে যে ঘটনাগুলো ঘটছে আমি আশা করছি ভবিষ্যতে আমাদের সকলের জন্য এটা একটি শিক্ষা হবে এবং আমরা শিখব যে আমাদের লক্ষ্য এখানে বিনোদন তৈরি করা এবং ৯০ মিনিটের জন্য মানুষকে খুশি করা।'
Comments