বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে অপরাজিতই রইল যুক্তরাষ্ট্র
মুখোমুখি লড়াইয়ে আগের ১১ লড়াইয়ে আটটি জয় ইংল্যান্ডের। কিন্তু লড়াইটা যখন বিশ্বকাপে, তখন এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই। আগের দুই লড়াইয়ে একটি জয় তাদের। অপরটি ড্র। এমন সমীকরণ সামনে নিয়ে এদিন ফের মাঠে নেমেছিল দুই দল। তাতে আরও একবার শিরোপা প্রত্যাশী ইংলিশদের রুখে দিল যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার আল খোরের আল বায়েত স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের 'বি' গ্রুপে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়।
এদিন মাঝমাঠের প্রাধান্য ধরে রাখে ইংল্যান্ড। কিন্তু ইংলিশ শিবিরে বারবার ভীতি ছড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই। একবার তো বল বারপোস্টে লেগেই ফিরে আসলো। শটও তাদের চেয়ে বেশি নেয় দলটি। ফরোয়ার্ডদের বারবার ব্যর্থতা হলে গোল পেতেই পারতো তারা। ফলে দারুণ খেলেই জয় পায়নি যুক্তরাষ্ট্র। পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
তবে গোল করার মতো প্রথম সুযোগটা পায় ইংলিশরাই। দশম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বুকোয়া সাকার কাটব্যাক থেকে ছোট ডি-বক্সের সামনে বল পেয়ে গিয়েছিলেন হ্যারি কেইন। কিন্তু তার মার্কিন ডিফেন্ডার ওয়াকার জিমারম্যান ব্লক করলে কোনো বিপদ হয়নি আমেরিকানদের।
১৭তম মিনিটে গোল করার মতো সুযোগ পায় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েস্টন ম্যাককিনের ক্রস থেকে হাজি রাইটের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে এগিয়ে যেতে পারতো তারা। নয় মিনিট পর দিনের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন ম্যাককিনে। টিমোথি উইয়াহর ক্রস থেকে একেবারে ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন এ জুভেন্তাস মিডফিল্ডার। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারেন তিনি।
৩৩তম মিনিটে দুর্ভাগা আমেরিকানরা। ইউনুস মুসাহর কাছ থেকে বল পেয়ে এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন ক্রিস্তিয়ান পুলিসিক। কিন্তু তার নেওয়া গোলরক্ষকের হাতে লেগে বারপোস্টে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হয় তারা।
৪১তম মিনিটে সের্জিনো ডেস্ট স্বার্থপর না হলে এগিয়ে যেতে পারতো যুক্তরাষ্ট্র। ডান প্রান্তে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে শট নেন তিনি। তবে তার পাসেই ফাঁকায় ছিলেন পুলিসিক। তাকে পাস দিলে বিপদে পড়তে পারতো ইংল্যান্ড। পরের মিনিটে ডেস্টের ক্রস থেকে পুলিসিকের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে দুই খেলোয়াড় কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে সাকাকে কাটব্যাক করেছিলেন লুক শ। তবে লক্ষ্যেই শট নিতে পারেননি সাকা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দূরপাল্লার জোরালো এক শট নিয়েছিলেন ম্যাসন মাউন্ট। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা রক্ষা করেন মার্কিন গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার।
প্রথমার্ধে জমজমাট লড়াই হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ছিল না তেমন গতি। মাঝমাঠেই বল ঘোরাফেরা করে। ৪৯তম ফাঁকায় থেকে নেওয়া রাইটের শট ব্লক করেন এক ইংলিশ ডিফেন্ডার। পরের মিনিটে সুযোগ ছিল ম্যাক কিনের। কিন্তু উড়িয়ে মারেন তিনি।
ম্যাচের শেষ দিকে এগিয়ে যেতে কিছুটা গতি বাড়ায় ইংলিশরা। বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারায় আক্রমণগুলো। সে ধারায় ম্যাচের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে নিজেদের সেরা সুযোগটি পায় ইংল্যান্ড। শর নেওয়া ফ্রিকিক থেকে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি হ্যারি কেইন।
Comments