ইংল্যান্ড বনাম যুক্তরাষ্ট্র: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড
কাগজে কলমে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ঢের এগিয়ে ইংল্যান্ড। তবে কাতার বিশ্বকাপে খাটছে না শক্তির বিচার, ঘটে চলছে একের পর এক অঘটন। তাই এই ম্যাচেও ঘটতে পারে যেকোন কিছুই।
ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-
কখন?
শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টা
কোথায়?
আল বাইত স্টেডিয়াম, আল খোর
নজরে থাকবেন যারা
ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগের মার্কাস র্যাশফোর্ড, হ্যারি কেইন, রহিন স্টার্লিংরা ধ্বংস করে দিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণ।
যুক্তরাষ্ট্র শিবিরে সবচেয়ে বড় নাম পুলিসিক। তাছাড়া মাঝমাঠে ওয়েস্টন ম্যাকেনি ও ডিফেন্সে সার্জিনো ডেস্টকেও রাখতে হবে ভূমিকা।
সম্ভাব্য লাইন আপ
ইংল্যান্ড: (৪-২-৩-১): পিকফোর্ড (গোলরক্ষক), ট্রিপার, স্টোনস, ম্যাগুয়ার, শ, রিস, বেলিংহাম, সাকা, মাউন্ট, স্টার্লিং, কেইন
যুক্তরাষ্ট্র: (৪-৩-৩) টার্নার (গোলরক্ষক), রবিনসন, ডেস্ট, রিম, জিমারম্যান, মুসাহ, অ্যাডামস, ম্যাকেনি, পুলিসিক, সার্জেন্ট, উইয়াহ
প্রেডিকশন
কাগজে কলমে এগিয়ে থাকবে ইংল্যান্ডই। তবে তাদের খারাপ দিনে চেপে ধরতে পারেন পুলিসিকরাও।
সম্ভাব্য স্কোর:
ইংল্যান্ড ৩-১ যুক্তরাষ্ট্র
অন্যান্য পরিসংখ্যান
১) বিশ্বকাপে এটা তৃতীয় লড়াই ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। এর আগে ১৯৫০ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র ১-০ গোলে জিতেছিল। এবং ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ১-১ গোলে ড্র হয়।
২) তবে সবমিলিয়ে এর আগের ১১টি লড়াইয়ে ৮টি ম্যাচই জিতেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের সবশেষ হারটি ১৯৯৩ সালে (২-০ গোলে)।
৩) ইরানের বিপক্ষে ৬-২ গোলের জয়ে ইংল্যান্ড ৭১৬টি পাস পূর্ণ করেছে, যা ১৯৬৬ সালের পর বিশ্বকাপের ম্যাচে তাদের রেকর্ডে সবচেয়ে বেশি। জন স্টোনস একাই দিয়েছে ১১৬টি পাস যা ম্যাচের ১৬ শতাংশ, এছাড়াও বিশ্বের ইংলিশ খেলোয়াড়দের মধ্যেও ১৯৬৬ সালের পর সর্বোচ্চ।
৪) ২০২২ বিশ্বকাপের ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্বে সেরা গোল ব্যবধান ছিল ইংল্যান্ডেরই। ৩৯ গোল করেছে তার বিরুদ্ধে গোল হজম করে মাত্র তিনটি।
৫) জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়ে ইংল্যান্ডকে শেষ দুটি টুর্নামেন্টের শেষ চারে নিয়ে গেছেন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এর আগে শুধুমাত্র স্যার আলফ র্যামসের অধীনে ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৬৮ সালে ইউরোর সেমিফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড।
৬) ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। গোল করেছিলেন ছয়টি। তার পাঁচটি ছিল গ্রুপ পর্বে। দুটি ভিন্ন বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে কোনো খেলোয়াড়ই কখনো টানা সর্বোচ্চ স্কোরার হতে পারেনি।
৭) ১১তম বারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে আমেরিকানরা। নিজেদের সবশেষ চার আসরের তিনটিতেই গ্রুপ পর্বের বাধা অতিক্রম করেছিল তারা।
৮) এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে খেলা ৩৪ ম্যাচের একটিতেও গোলশূন্য ড্র করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
৯) ইংল্যান্ড এখন পর্যন্ত ১৬টি বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। তবে ১৯৬৬ সালে ঘরের মাঠে একবার টুর্নামেন্ট জিতেছে।
Comments