ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালের কাছাকাছি প্রোটিয়ারা

হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টনের ব্যাটে জয়ের কাছে চলে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে শেষ দিকে বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা

হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টন যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের জয় যেন সময়ের ব্যাপার। শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন তখন ২৫ রান। হাতে ছয় উইকেট। কিন্তু এরপর কী দুর্দান্ত বোলিংই না করলেন কগিসো রাবাডা, মার্কো ইয়ানসেন ও আনরিখ নরকিয়া। দুই অপরাজিত ব্যাটারকে ফিরিয়ে কাজটা কঠিন দিলে জয় অধরাই থেকে যায় ইংলিশদের।

শুক্রবার সেইন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৩ রান করে প্রোটিয়ারা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি ইংলিশ দলটি।

১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংলিশদের। দলীয় ১৫ রানেই আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক ফিল সল্টকে হারায় তারা। এরপর অধিনায়ক জস বাটলারকে কিছুটা সঙ্গ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৬ রানে কেশভ মহারাজের শিকার হন জনি বেয়ারস্টো। খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাটলারও। ব্যক্তিগত ১৬ রানে হন মহারাজের দ্বিতীয় শিকার। হতাশ করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মঈন আলীও।   

৬১ রানে চার উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোন। ৪২ বলে ৭৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন এ দুই ব্যাটার। তখন জয়ের স্বপ্নই দেখছিল তারা। কিন্তু ১১ রানের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটার সাজঘরে ফিরে গেলে কঠিন হয়ে যায় সমীকরণ। শেষ পর্যন্ত ৭ রান দূরেই থামে দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। ৩৭ বলে ৭টি চারের সাহায্যে সাজান নিজের ইনিংস। লিভিংস্টন করেন ৩৩ রান। ১৭ বলের ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মহারাজ ও কাগিসো রাবাডা।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে কুইন্টন ডি কক ও রিজা হেন্ড্রিকসের ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৯ বলে ৮৬ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। যেখানে দেখে শুনে ব্যাটিং করে এক প্রান্ত আগলে রাখেন হেন্ড্রিকস। অপর প্রান্তে ঝড় তোলেন ডি কক।

তবে ছয় রানের ব্যবধানে এ দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরে ইংলিশরা। শুধু তাই নয় দ্রুত হেনরিখ ক্লাসেন ও অধিনায়ক এইডেন মার্করামকেও তুলে নেয় দলটি। এরপর ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ডেভিড মিলার। ২৭ বলে স্কোরবোর্ডে ৪২ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন ডি কক। ৩৮ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কায় এই রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মিলার করেন ৪৩ রান। ২৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ইংল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ৪০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন জোফরা আর্চার।

Comments

The Daily Star  | English
Govt restructures task force on bringing back illegal money

Govt restructures task force on bringing back money illegally taken abroad

Headed by Bangladesh Bank governor, the nine-member task force became operational with immediate effect

2h ago