ফলোঅনে পড়েও চা-বিরতির আগে ৪ উইকেট নেই
দক্ষিণ আফ্রিকার রানের পাহাড়ের জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ফলোঅনে পড়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসেও খাবি খাচ্ছে। বিশাল চাপে নেমে চা-বিরতির আগেই হারিয়েছে ৪ উইকেট। নাজমুল হোসেন শান্ত দল এখন ধুঁকছে ভীষণ কঠিন এক পরিস্থিতিতে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনটা যেন বাংলাদেশের জন্য বিভীষিকাময়। ১৫৯ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়ার পর ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চা-বিরতিতে গেছে স্বাগতিক দল। ইনিংস হার এড়াতে এখনো দরকার ৩৭৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ রান করে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক শান্ত। যে পিচে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছে ৫৭৫ রান, সেই পিচে যেন রান করার পথ পাচ্ছেন না স্বাগতিক ব্যাটাররা।
ফলোঅনে পড়া বাংলাদেশ পঞ্চম ওভারেই হারায় প্রথম উইকেট। ড্যান প্যাটারসনের বলে খোঁচা মেরে বিদায় নেন সাদমান ইসলাম। তিনে নামা জাকির হাসানও ফিরতে পারতেন শুরুতেই। ১ রানে তাকে জীবন দেন এইডেন মার্করাম। কাগিসো রাবাদার বলে প্রথম স্লিপের ক্যাচ দ্বিতীয় স্লিপ থেকে লাফিয়ে নিতে গিয়ে গেলে দেন প্রোটিয়া কাপ্তান।
অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট পেতে বেশি দেরি হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। একাদশ ওভারে সেনুরান মুথুসামির বলে সহজ ক্যাচে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। এরপরই অদ্ভুত আউটে নিজেকে বিলিয়ে দেন মুমিনুল হক।
প্রথম ইনিংসে তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিরোধের নায়ক, করেছিলেন ৮১ রান। এবার মাত্র দ্বিতীয় বলেই কেশব মহারাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরে দেন বাউন্ডারি লাইনে। মহারাজেরও যেন বিশ্বাস হচ্ছিলো না এমন আউট।
চা-বিরতির ঠিক আগের বলে আরেক উইকেট। ১ রানে জীবন পাওয়া জাকির হাসান দুই অঙ্কেও যেতে পারেননি। মুথুসামির বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে এই টপ অর্ডার ব্যাটার ফেরেন ৭ রান করে। ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ দল।
সকালে ৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে নেমে মুহুর্তেই ৮ উইকেটে ৪৮ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। পরে মুমিনুল হক-তাইজুল ইসলামের শতরানের জুটিতে দল করতে পারে ১৫৯ রান। তাতেও ফলোঅন এড়ানো থেকে ২১৭ রান পিছিয়ে ছিলো তা। দক্ষিণ আফ্রিকা আবার ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশকে। এই দফাতেও দ্রুত ৪ উইকেট তুলে নিল তারা। তৃতীয় দিনের প্রথম দুই সেশনেই বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়ে হারালো ১০ উইকেট।
Comments