ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে তাইজুলকে নিয়ে মুমিনুলের লড়াই
সকালে কিছু বুঝে উঠার আগেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকল বাংলাদেশ, শঙ্কা জাগল পঞ্চাশ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দল যখন দিশেহারা তখন তাইজুল ইসলামকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়লেন মুমিনুল হক।
তাইজুল-মুমিনুলের ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছে বাংলাদেশ। ফলো অন এড়াতেই যদিও এখনো দরকার ২৩৯ রান। প্রিয় মাঠে ৯৭ বলে ৭৪ করে অপরাজিত আছেন মুমিনুল। ৬৭ বলে ১৮ রান করে ক্রিজে তাইজুল।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৭৫ রানের জবাবে আগের দিন বিকেলেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে আশা ছিলো ব্যাটারদের লড়াইয়ের। কিন্তু সকালে নেমে অন্ধকার দেখতে থাকে বাংলাদেশ দল। কাগিসো রাবাদার ঝাঁজে তছনছ হয়ে যায় ব্যাটিং লাইনআপ।
দিনের চতুর্থ ওভারে বিদায় নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কাগিসো রাবাদার বলে শুরু থেকেই ভুগছিলেন তিনি, দারুণ এক ডেলিভারিতে তার ভোগান্তির সমাপ্তি টানেন রাবাদাই। রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বলে খোঁচা মেরে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়েন ৯ রান করা শান্ত।
পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় মুশফিকের। অভিজ্ঞ ব্যাটার ড্যান প্যাটারসনের লেগ স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে গিয়ে তোলে দেন লোপ্পা ক্যাচ। রাবাদা তার পরের ওভারের প্রথম বলেই শিকার ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকতে থাকা বল ঠেকাতে গিয়ে এজড হয়ে মিরাজও ক্যাচ দেন কিপারের গ্লাভসে।
অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম টিকেছেন স্রেফ ২ বল। রাবাদার ভেতরে ঢোকা বল ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। বল ছোবল হানে তার প্যাডে। সহজেই আউটের সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়ার, রিভিউ নিয়ে লাভ হয়নি তার।
বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামানো রাবাদা ৩৭ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট।
Comments