১৩.৫ ওভারে ৪২ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা
শুরু থেকেই আগুন ঝরাচ্ছিলেন মার্কো ইয়ানসেন। শেষ পর্যন্ত তার তোপে পুড়ে ছারখার শ্রীলঙ্কা। মাত্র ৪২ রানেই গুটিয়ে গেছে দলটি। সেটাও মাত্র ১৩.৫ ওভারে। টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছরের ইতিহাসের এরচেয়ে ছোট ইনিংস রয়েছে আর মাত্র একটি। ডারবানে এমনই এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
এর আগে ঘরের মাঠে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯১ রানে আটকে দিয়েছিল সফরকারী দলটি। উইকেট যে বোলারদের সহায়ক, তা জানা গিয়েছিল তখনই। কিন্তু সামান্য প্রতিরোধও গড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কা। হয়নি কোনো জুটি, এমনকি এমনকি ব্যক্তিগত ভাবেও কেউ দায়িত্ব নিতে পারেননি। ফলে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি গড়ে তারা।
এর আগে ১৯২৪ সালের জুনে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে ক্ষণস্থায়ী ইনিংসের বিব্রতকর রেকর্ডটি গড়ে এই দক্ষিণ আফ্রিকাই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১২.৩ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছিল তারা। তাদের সে ইনিংসে রান তুলেছিল ৩০। ১৫ ওভারের আগে এই দুটি ইনিংসই শেষ হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে।
একই সঙ্গে টেস্টে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন রান এই স্কোর। এর আগে কখনোই ৫০ রানের নিচে অলআউট হয়নি দলটি।১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের সর্বনিম্ন ছিল ৭১ রানের ইনিংস খেলেছিল তারা। একই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটাই কোনো দলের সর্বনিম্ন ইনিংস। এর আগে ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে ৪৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল তারা।
এদিন লঙ্কান ইনিংসের ধস ইয়ানসেন নামালেও শুরুটা করেন কাগিসো রাবাদা। ওপেনার দিমুথ করুনারত্নেকে ফেরান তিনি। এরপর মঞ্চে আসেন ইয়ানসেন। পাথুম নিসাঙ্কাকে দিয়ে শুরু। এরপর একে একে দিনেশ চান্ডিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, প্রভাত জয়াসুরিয়া, বিশ্ব ফার্নান্ডো ও আসিথা ফার্নান্ডোকে ফেরান এই পেসার।
মাঝে অবশ্য দুটি শিকার করেন গেরাল্ড কোয়েটজি। এক কামিন্দু মেন্ডিস ও লাহিরু কুমারা ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি আর কেউ। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তারা। দলের পাঁচ ব্যাটার তো আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলা আগেই।
৬.৫ ওভারে ১৩ রানের খরচায় একাই ৭টি উইকেট নেন ইয়ানসেন। কোয়েটজি ১৮ রানের বিনিময়ে পান দুটি উইকেট। অপর উইকেট নিয়েছেন রাবাদা।
Comments