চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে আয়োজনের ভাবনা
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে অচলাবস্থা দূর করতে বোর্ড পরিচালকদের সভা আহবান করেছে আইসিসি। শুক্রবার এই সভার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কীভাবে আয়োজিত হবে তা নিয়ে আসতে পারে সিদ্ধান্ত। তবে সবচেয়ে আলোচনায় আছে হাইব্রিড মডেল।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ বলছে, ২৯ নভেম্বর (শুক্রবার) আইসিসির এই সভা হবে অনলাইনে। এখানেই সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের আশা করা হচ্ছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান হলেও সেখানে গিয়ে খেলতে রাজী নয় ভারত। গত এশিয়া কাপেও পাকিস্তানে গিয়ে ভারত না খেলায় টুর্নামেন্ট হয় হাইব্রিড মডেলে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবার তা চায়। তবে এবার আর হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করতে চায় না বলে জোরালোভাবে বলে আসছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ৮ দলের এই আসরে হবে ১৫ ম্যাচ। ১০ ম্যাচ পাকিস্তানে, একটি সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ ১৫ ম্যাচ বিকল্প ভেন্যুতে আয়োজনের ভাবনা চলছে। এই প্রস্তাবনায় বোর্ড পরিচালকরা মত দিলে সেদিকেই যাওয়া হতে পারে।
ভারত যদি সেমিফাইনালে না উঠে তাহলে সেমিফাইনাল ও ফাইনালও পাকিস্তানেই করার চিন্তাও আছে। এদিকে পিসিবি বলছে টুর্নামেন্টে তিন ভেন্যু লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিকে সব দিক থেকে প্রস্তুত করছে তারা। খেলা তাই সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।
হাইব্রিড মডেলে হলে ভারতের ম্যাচগুলো কোথায় হবে তা নিয়েও সিদ্ধান নিতে হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও আবুধাবিকে সম্ভাব্য বিকল্প ভেন্যু ধরা হয়েছদ। এছাড়া বছরের ওই সময় আবহাওয়া অনুকূল থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকাও হতে পারে সম্ভাব্য বিকল্প। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ও ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)'র সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে।
তবে আইসিসির এমন ভাবনায় স্বাভাবিকভাবেই একমত হবে না পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে ১৪ বোর্ড সদস্যের মধ্যে ভোটের ভিত্তিতে নেওয়া হতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
হাইব্রিড মডেলের সিদ্ধান্ত এলে ভারতে হতে যাওয়া আগামী কয়েকটি আইসিসি আসরে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে পাকিস্তান। আগামী বছর নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ভারতে। এছাড়া ছেলেদের এশিয়া কাপের ভেন্যুও ভারত। ২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও আয়োজক ভারত।
২০০৮ সালের পর পাকিস্তান সফরে যায় না ভারত। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপর হামলার পর পাকিস্তানে কয়েক বছর কোন দলই ভ্রমণ করেনি। এই সমস্যা তারা কাটিয়ে উঠে পরে। গত চার-পাঁচ বছরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ সব দলই পাকিস্তানে গিয়ে সিরিজ খেলেছে। ভারত অবশ্য রাজনৈতিক কারণে সেখানে ক্রিকেট দল পাঠাতে রাজী নয়। দুই দলের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ বন্ধ ২০১৩ সাল থেকে। পাকিস্তান অবশ্য ভারতে সফর করেছে গত বছরও। ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলো তারা।
Comments