এটা আমাদের শুরু, আরও ভালো সময় আসবে: রশিদ

বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রায় হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় এক ইনিংসে। সেদিন না পারলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত জয় ঠিকই তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান। তাতে আফগানরা যে সঠিক পথেই আছে সেই বার্তা ক্রিকেট বিশ্বকে দারুণভাবেই জানিয়ে দিলেন তারা।

রোববার সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভেল মাঠে আইসিসি বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৮ রান করে তারা। জবাবে চার বাকি থাকতে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। এটাই যেকোনো সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম জয়।

এমন জয়ের পর অধিনায়ক রশিদ খান বললেন, 'আমাদের দলের জন্য এবং আমাদের দেশের জন্য এই জয় বিশাল আনন্দের। ২০২৩ বিশ্বকাপে একটুর জন্য জিততে পারিনি আমরা। ভারতের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে পরিবর্তন করলেও এই ম্যাচে আবার আমরা পুরোনো জুটিতেই ফিরি। আমরা জানতাম ১৪০ এই পিচে ভালো স্কোর, শুরুটা ভালো করেও ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি আমরা। তবে এই উইকেটে ব্যাটারদের সমস্যা হবেই আমরা জানতাম। মাথা ঠান্ডা রাখতে হত, আর সেটা করতে পারাতেই জয় এসেছে।'

আফগানদের জয়ে ভিতটা শুরুতে গড়ে দেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান। গুরবাজের ৪৯ বলে ৬০ ও ইব্রাহিমের ৪৮ বলে ৫১ রানে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দলটি। এরপর বোলিংয়ে আফগানদের নায়ক গুলবদিন নাইব। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। দারুণ দুই ক্যাচও হাতে জমান এই অলরাউন্ডার।

গুলবাদিনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে অধিনায়ক বলেন, 'আমাদের দলে অলরাউন্ডার বেশি থাকায় আমার হাতে বিকল্প অনেক। গুলবাদিনকে যখন বোলিংয়ে আনা হয়, যেভাবে ও নিজের অভিজ্ঞতার ছাপ রেখে বোলিং করেছে তা দুর্দান্ত। ওই সময় নাইবের এমন বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শুরুর দিকে নবির নেওয়া ওয়ার্নারের উইকেটটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে এটা আমাদের শুরু, আরও ভালো সময় আসবে। দলগত সংহতিতেই জয় এসেছে। আমাদের কাছে সামনে সুযোগ রয়েছে সেমিফাইনালে যাওয়ার।'

Comments

The Daily Star  | English

12,000 bhori gold missing from Samabaya Bank: LGRD adviser

Adviser to the Ministry of Local Government and Rural Development (LGRD) AF Hassan Ariff has said that a significant portion of the assets belonging to the Samabaya Bank have been illegally captured. Those who were once associated with the bank have now taken possession of its properties

11m ago