নেপালের বিপক্ষে কঠিন উইকেটে ১০৬ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
সুপার এইট নিশ্চিতের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেও ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মন্থর ও টার্নিং উইকেটের ভাষা বুঝতে না প্রতিপক্ষকে শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি তারা।
সেন্ট ভিনসেন্টে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে স্রেফ ১০৬ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেছেন সাকিব আল হাসান।নেপালের স্পিনাররাই রেখেছেন মূল ভূমিকা। দীপেন্দ্র আইরি, রোহিত পাউডেল, সন্দিপ লামিচানে সবাই নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। দুই উইকেট পেয়েছেন পেসার সোমপাল কামিও।
১০৬ রানকেই অবশ্য বেশ বড় দেখাতে পারে যখন কিনা ৭৫ রানে পড়ে গিয়েছিলো ৮ উইকেট। শেষ দিকে রিশাদ হোসেন ৭ বলে ১৩ আর তাসকিন আহমেদ ১৫ বলে ১২ রানের ভাইটাল ইনিংস খেলেছেন।
বল নিচু হচ্ছে, অনেক টার্ন করছে এমন উইকেটে অন্তত একশো ছাড়ানো পুঁজি নিয়ে লড়াইয়ের রসদ পেলেন বোলাররা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম শুরুতেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে উড়াতে গিয়ে বোলার সোমপাল কামির হাতেই দেন সহজ ক্যাচ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আগের দুই ম্যাচে ওপেন করলেও এদিন নেমে যান তিনে। কিন্তু রানের দেখা এবারও মেলেনি। দীপেন্দ্র আইরির অফ স্পিনে কাবু তিনি। ভেতরে ঢোকা বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হন ৫ বলে ৪ রান করে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেও লিটন দাস এদিন আবার ব্যর্থ। দুই অঙ্কে গিয়েই সোমপালের বলে পুল করে দেন সহজ ক্যাচ। শুরুর দুই ম্যাচের ব্যাটিং হিরো তাওহিদ হৃদয় গত ম্যাচের পর এদিনও রান পাননি। রোহিত পাউডালের নিরীহ স্পিন তুলে মারতে গিয়ে আউট হন ৯ রান করে।
উইকেটের ভাব বুঝে মাহমুদউল্লাহ খেলছিলেন ভালোই, থিতুও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়ে থামেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
অভিজ্ঞ সাকিব নিজেও থিতু হয়ে টিকতে পারেননি। পাউডালের বলে পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে হন এলবিডব্লিউ। রিশাদ হোসেনের আগে পাঠানো হয় তানজিম সাকিবকে। তিনি এসে পারেননি। সন্দিপ লামিচানের গুগলিতে হন বোল্ড। ৬৯ রানে বাংলাদেশ হারায় ৭ উইকেট।
জাকের আলি অনিক ছিলেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটার। টার্ন ও নিচু বাউন্সের বিপক্ষে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছিলেন প্রবল। কিন্তু তাকেও ফেরান লামিচানে। গুগলিতে পরাস্ত করে বোল্ড করেন ডানহাতি ব্যাটারকে। ২৬ বলে ১২ রান করেন এই ব্যাটার। ৭৫ রানে বাংলাদেশ হারায় ৮ উইকেট।
এরপর রিশাদ হোসেন ছক্কা-চারে দেখান ঝাঁজ। কিন্তু ঠিকমতো ঝড় তুলতে পারেননি তিনি। ১৮তম ওভারে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পরও দলকে একশো পার করান তাসকিন।
Comments