নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি: জাপা মহাসচিব

নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি: জাপা মহাসচিব
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করলেও নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

আজ সোমবার দুপুরে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন আগামী নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে জাতীয় পার্টি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, 'জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমুখী দল। আমরা অনেক আশা করেছিলাম যে, একটা আনন্দমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। দেশের মানুষ সেই নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দিতে পারবে এবং সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।'

তিনি বলেন, 'আমরা সেই নির্বাচনে যাওয়ার প্রক্রিয়া আরম্ভ করেছি। নির্বাচনে যাওয়ার জন্য যেসব প্রাথমিক কাজ, সেই কাজগুলোর সর্বশেষ হলো, দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও বাছাই। আমাদের বোর্ড সাক্ষাৎকার নেবে, প্রার্থী বাছাই করবে। তারপর প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা দেবে।

'আমরা আজকে এই নির্বাচনের প্রক্রিয়া আরম্ভ করেছি কিন্তু এটা আমাদের নির্বাচনে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। নির্বাচনে যাওয়ার জন্য যে কাজগুলো করতে হয়, আমরা করছি। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে কেন্দ্রে এসে, এ রকম আস্থা যাতে সৃষ্টি হয়, সংশ্লিষ্ট মহলকে আমরা সেই অনুরোধ করব,' বলেন তিনি।

নির্বাচনে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কে দেবেন এবং কবে দেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা একটা পরিবেশ আশা করেছিলাম যে, আস্থা আসবে আমাদের এবং ভোটারদের—নির্বাচনটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সে আস্থা পুরোপুরি এখনো আমাদের মধ্যে আসেনি। আমাদের দলের চেয়ারম্যানকে সংগঠনিক সব স্তর থেকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, উনি নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রয়োজনে উনি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।'

শিগগির সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'সময় আছে, প্রাথমিক কাজগুলো আমরা করছি।'

আপনারা এর আগে আওয়ামী লীগের জোটে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এবার সিদ্ধান্ত কী জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, 'আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সব সময় জোটে (নির্বাচন) করিনি। ২০০৮ সালে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করেছিলাম। তার পরে আমাদের জোট-মহাজোট হয়নি। ২০১৪ সালে নির্বাচন করি কিছু কিছু আসনে সমঝোতায়। ২০১৯ সালে আমরা নির্বাচন করি আমাদের নিজস্ব প্রতীকে এবং কিছু আসনে সমঝোতা ছিল, জোট বা মহাজোট ছিল না।

'যদি জোট বা মহাজোট করতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনে আগে দরখাস্ত করতে হয়। আমরা সে রকম কোনো লিখিত দরখাস্ত দেইনি। কারণ আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল, আগামী নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবো। সে সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত আমাদের আছে। ৩০০ আসনে এককভাবে আমাদের নিজস্ব প্রতীক লাঙ্গল নিয়ে আমরা নির্বাচন করব,' বলেন তিনি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, 'আমাদের চেয়ারম্যান অনেক আগে থেকে বলছেন, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করলে নির্বাচনটা ভালোভাবে করা যাবে। আজকে দুইটা বড় দল একদফায় আছে, আমাদের চেয়ারম্যান কিন্তু বলছিলেন, এই একদফা না বলে, আপনারা বরং একটু সরে এসে আলোচনার টেবিলে বসেন। কাদের সাহেব বলেছিলেন তার কাছে একটা ফর্মুলা আছে; সংবিধানের আলোকেই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।

'সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আবদার করেছিলাম, এখন পর্যন্ত সরকারি দল এবং মাঠে যারা আছে—বিএনপি, কোনো দলের পক্ষ থেকে এই আগ্রহ প্রকাশ করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, এখনো সময় আছে। এখনো বসে সমঝোতা করে...প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন শিডিউল এদিক-সেদিক করতে পারে,' বলেন চুন্নু।

জি এম কাদেরের নেতৃত্বে যে দল সেখানে কোনো বিভেদ নেই বলেও এ সময় জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

10 die of dengue

886 hospitalised in the last 24 hours

1h ago