বাংলাদেশের ক্রিকেটে এবার জিপিএস প্রযুক্তি

ছবি: স্টার

ক্রিকেটারদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো ফিটনেস। পারফরম্যান্সকে সেরা মানে নিয়ে যাওয়া ও চোট থেকে দূরে থাকার জন্য ফিটনেস ঠিক রাখা ও আরও উন্নত করার বিকল্প নেই। আর তা নিশ্চিত করতে প্রচলন শুরু হয়েছে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের। গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) সেগুলোর মধ্য অন্যতম। বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো দেখা গেল এই প্রযুক্তি। জিপিএস ভেস্ট পরে অনুশীলন করলেন তাসকিন আহমেদ-হাসান মাহমুদরা।

শনিবার জিপিএস প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। সকালে এশিয়া কাপের স্কোয়াড ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের মূল মাঠে ম্যাচ আবহে অনুশীলন শুরু করেন দলের ক্রিকেটাররা। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চলে এসেছিলেন সকাল ১০টা নাগাদ। অনুশীলন চলাকালে সেসময় দুই পেসার তাসকিন-হাসানের গায়ে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা ক্যাটাপল্ট কোম্পানির কালো রঙের জিপিএস ভেস্ট। অনুশীলন জার্সির ওপরে এটি পড়েছিলেন তারা, যা তাদের কাঁধ থেকে বুকের নিচ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মাঠে একজন টেকনিশিয়ানও ছিলেন। তার কাজ ছিল জিপিএসের ব্যবহার বুঝিয়ে দেওয়া।

গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ডেভিড মুরকে হেড অব প্রোগ্রাম হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিবি। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটে জিপিএস চালু করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। তার পরামর্শ মেনে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের পূর্ণ চিত্র পেতে ও মানোন্নয়নের জন্য এবার এই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো ক্রিকেট পরাশক্তিরা বেশ কয়েক বছর ধরে জিপিএস ব্যবহার করছে।

ক্যাটাপল্টের ভেস্ট বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জিপিএস অ্যান্টেনাকে অন্যান্য সেন্সরগুলোর সঙ্গে যুক্ত করে। এদের মধ্যে রয়েছে ট্রাই-অ্যাক্সিয়াল অ্যাক্সিলোমিটার, ট্রাই-অ্যাক্সিয়াল জাইরোস্কোপ ও ট্রাই-অ্যাক্সিয়াল ম্যাগনেটোমিটার। এতে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের সঠিক ও সামগ্রিক পরিস্থিতি জানা যাবে।

জিপিএস প্রযুক্তি মাঠে একজন ক্রিকেটারের প্রতিটি নড়াচড়াকে অনুসরণ করে। এটি তাদের গতি ও অতিক্রান্ত দূরত্ব সম্পর্কে তথ্য রেকর্ড করে। যেমন- একজন খেলোয়াড় মাঠে কতটা দৌড়েছেন, তার সর্বোচ্চ গতি কত ছিল, তিনি পায়ে কতটা হেঁটেছেন, তার হৃৎস্পন্দনের হার কতটা ইত্যাদি। এসব তথ্য সরাসরি চলে যাবে মাঠের বাইরে থাকা ট্রেনার-ফিজিওদের ল্যাপটপে। সেসব বিশ্লেষণ করে ক্রিকেটাররা কেমন পারফর্ম করেছেন তা মূল্যায়ন করা হবে। পাশাপাশি কোন ধরনের অনুশীলনে তাদের বেশি মনোযোগী হতে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka slams desecration of nat’l flag in Kolkata

The government yesterday strongly condemned the desecration of Bangladesh’s national flag and the burning of Chief Adviser Prof Muhammad Yunus’s effigy in Kolkata as “deplorable acts”.

3h ago