ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচে পাকিস্তানি আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত
তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকা পাকিস্তানের ফয়সাল আফ্রিদি শুরুতে জ্বালালেন লাল বাতি। উইকেট প্রাপ্তির উল্লাসে মেতে উঠল বাংলাদেশ দল। তবে তাদের উদযাপন দীর্ঘস্থায়ী হলো না। আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে সবুজ বাতি জ্বালালেন ফয়সাল। আউট হওয়ার বদলে টিকে গেলেন ভারতের নিকিন জোস।
শুক্রবার শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ 'এ' ও ভারত 'এ' দল। এই ম্যাচ ঘটেছে বিতর্কিত ওই ঘটনা। জোসের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্টাম্পিংয়ের আবেদনের পর লম্বা সময় ধরে রিপ্লে দেখেন তৃতীয় আম্পায়ার। প্রথমে আউটের সংকেত দিলেও কিছুক্ষণের মধ্যে সেটা পাল্টে ফেলেন তিনি।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতের ইনিংসের ১৪তম ওভার চলছিল তখন। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের তৃতীয় ডেলিভারিটি ছিল কিছুটা ঝুলিয়ে দেওয়া। সামনের পা এগিয়ে রক্ষণাত্মক কায়দায় খেলার চেষ্টা করেন জোস। তার পেছনের পা সেসময় চলে যায় ক্রিজের বাইরে। ব্যাটে-বলে একদমই সংযোগ ঘটাতে পারেননি জোস। বল গ্লাভসে জমিয়েই উইকেটরক্ষক আকবল আলী ভেঙে দেন স্টাম্প। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন মাঠের আম্পায়াররা।
আকবর স্টাম্প ভাঙার আগেই জোস পপিং ক্রিজের ভেতরের মাটিতে পা রাখতে পেরেছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই বিভিন্ন কোণ থেকে রিপ্লে দেখে বোঝার চেষ্টা করেন ফয়সাল। স্কয়ার লেগ থেকে দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিল, জোসের পা ক্রিজ থেকে উঁচুতেই আছে অর্থাৎ আউট।
তিন থেকে চার মিনিট সময় নেওয়ার পর আউটের সংকেত হিসেবে লাল বাতি জ্বালান তৃতীয় আম্পায়ার। তখন ভারতের আরেকটি উইকেট শিকারের উৎসব শুরু করে দেয় বাংলাদেশ। জোস হাঁটা দেন সাজঘরের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মাঠের আম্পায়াররা তাকে থামিয়ে দেন। এরপর আসে নট আউটের সিদ্ধান্ত। এতে বিস্মিত হয়ে পড়েন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। অধিনায়ক সাইফ হাসানকে আম্পায়ারদের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চাইতেও দেখা যায়।
আউটের বিষয়ে নিশ্চিত হতে না পারলে ব্যাটাররা সাধারণত 'বেনিফিট অব ডাউট' পেয়ে থাকেন। এর মানে হলো তাদের পক্ষেই যায় সিদ্ধান্ত। তবে এভাবে লাল বাতির পর সবুজ বাতি জ্বালানোটা নিঃসন্দেহে বিতর্কিত কাণ্ড।
৯ রানে বেঁচে যাওয়া জোস অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। জাকির হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ২৯ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন তিনি। তার উইকেটটি নেন সাইফ। বাংলাদেশের বোলারদের সম্মিলিত অবদানে ভারতও বড় পুঁজি পায়নি। ৪৯.১ ওভারে ২১১ রানে অলআউট হয়েছে তারা।
Comments