মেসি ও এমবাপের গোল সমান থাকলে গোল্ডেন বুট পাবেন কে?
কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার বা গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়ে শীর্ষে আছেন আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি ও ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে। দুজনেরই নামের পাশে রয়েছে পাঁচটি করে গোল। তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন সতীর্থরাই। ফ্রান্সের অলিভিয়ের জিরু ও আর্জেন্টিনার হুলিয়ান আলভারেজ লক্ষ্যভেদ করেছেন চারবার করে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত সম্মাননাটি নিজের করে নিতে মেসি ও এমবাপে এগিয়ে থাকলেও জিরু ও আলভারেজ পেছন থেকে এগিয়ে এসে তাদেরকে টপকে যেতে পারেন। তবে যদি একাধিক খেলোয়াড়ের গোলসংখ্যা সমান হয়? সেক্ষেত্রে কার হাতে উঠবে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের গোল্ডেন বুট? ফিফার নিয়ম কী বলছে?
গোল সমান হলে যে খেলোয়াড় বেশি অ্যাসিস্ট করেছেন, তিনি পাবেন পুরস্কারটি। ব্যাখ্যা করার জন্য মেসি ও এমবাপেকে বিবেচনায় নেওয়া যাক। দুজনেরই গোলসংখ্যা সমান পাঁচটি। পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ছাড়া সব ম্যাচেই একটি করে গোল করেছেন মেসি। তার পাঁচ গোলের তিনটিই অবশ্য এসেছে পেনাল্টি থেকে। তরুণ এমবাপে গোল পেয়েছেন তিনটি ম্যাচে। গ্রুপ পর্বে ডেনমার্ক ও শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন তিনি। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একটি। তবে সতীর্থদের দিয়ে বেশি গোল করিয়েছেন মেসি। তার তিনটি অ্যাসিস্টের বিপরীতে এমবাপের অ্যাসিস্ট দুটি। ফলে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের নাম সবার উপরে।
গোল-অ্যাসিস্ট দিয়ে আলাদা করা না গেলে দেখা হবে কে সবচেয়ে কম সময় মাঠে ছিলেন। এই হিসাব অনুসারে, পিছিয়ে আছেন জিরু। গোলসংখ্যা সমান হলেও তিনি আলভারেজের চেয়ে ১৯ মিনিট বেশি খেলেছেন। চারটি করে গোল করলেও দুজনের কারোরই নেই কোনো অ্যাসিস্ট।
সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর ম্যাচে জোড়া গোল করে দারুণ অবদান রাখেন আলভারেজ। এর আগে পোল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একবার করে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোলের পর নকআউটের গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচে পোল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিরু করেন একটি করে গোল।
Comments