৬৪ বছর পর তরুণ আক্রমণভাগ ব্রাজিলের
শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে গেছে এরমধ্যেই। তাই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে বেঞ্চ ঝালিয়ে দেখতে চাইছেন ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতে। তাতে ৬৪ বছর পর আবারও তরুণ একটি আক্রমণভাগ দেখা যাবে ব্রাজিল দলে। যেখানে ফরোয়ার্ডদের গড় বয়স মাত্র ২২.৯ বছর।
আজ শুক্রবার রাতে দোহার লুইসাইল স্টেডিয়ামে ক্যামেরুনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবোর সংবাদ অনুযায়ী, এ ম্যাচে ব্রাজিলের মূল একাদশের আক্রমণভাগে খেলবেন রিয়াল মাদ্রিদের রদ্রিগো, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আন্তনি এবং আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও গ্যাব্রিয়েল মার্তেনেল্লি।
এই চার তারকাদের মধ্যে তিনজনেরই জন্ম হয়েছে একবিংশ শতাব্দীতে। রদ্রিগো জন্মেছেন ২০০১ সালের ৯ জানুয়ারি, আন্তনির জন্ম ২০০০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এবং মার্তেনেল্লির জন্ম ২০০১ সালের ১৮ জুন। আক্রমণভাগে সবচেয়ে বয়সী খেলোয়াড় জেসুস। তাই খুব বেশি নয়, জন্ম ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল।
এর আগে সবশেষ ১৯৫৮ সালের আক্রমণভাগে এরচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন ব্রাজিলের দলে। ওয়েলসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে ব্রাজিলের আক্রমণভাগে খেলেছিলেন গারিঞ্চা, মাজ্জোলা, জাগালো এবং পেলে। তখন এই চার তারকার গড় বয়স ছিল ২২.২ বছর।
সেই দলের সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন কিংবদন্তি পেলে। যার বয়স ছিল ১৭ বছর ৭ মাস। মাজ্জোলার বয়স ছিল ১৯ বছর ১০ মাস। সবচেয়ে বেশি বয়সী জাগালোর বয়স ছিল ২৬ বছর ১০ মাস। এছাড়া ২৪ বছর ৭ মাস বয়স ছিল গারিঞ্চার।
তবে বিশ্বকাপে এটাই ব্রাজিলের সবকনিষ্ঠ আক্রমণভাগ নয়। এর আগে ১৯৩৪ সালে স্পেনের বিপক্ষে আরও তরুণ আক্রমণভাগ নিয়ে খেলেছিল ব্রাজিল। ওয়ালদেমার দি ব্রিতো, লিওনিদাস, আরমান্দিনহো এবং পাতেস্কোকে নিয়ে গড়া সে আক্রমণভাগের বয়স ছিল গড়ে ২২.১ বছর।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার, এবারের ব্রাজিলের এমন তরুণ আক্রমণভাগ দেখে মনে হতেই পারে পুরো দলটির খেলোয়াড় গড় বয়সও কম। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার এই দলটির গড় বয়স ২৮.৪ বছর। যা তাদের ইতিহাসের অন্যতম সর্বোচ্চ। ২০১০ সালে কেবল এরচেয়ে বেশি বয়সী (২৯.৩ বছর) খেলোয়াড়দের নিয়ে খেলেছিল ব্রাজিল।
Comments