ব্রাজিল বনাম ক্যামেরুন: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড
ব্রাজিলের বিপক্ষে আরেকটি আফ্রিকান রূপকথা লেখার সুযোগ রয়েছে ক্যামেরুনের সামনে। তবে সেই পথে তাদের প্রয়োজন ভাগ্যের সহায়তাও। সেলেসাওদের হারানোর অতি কঠিন কাজটা সফলভাবে করে ফেলতে পারলে ও সুইজারল্যান্ড সার্বিয়ার বিপক্ষে হেরে গেলে বা ড্র করলে খুলবে আফ্রিকানদের সম্ভাবনার দুয়ার। এদিকে দুই ম্যাচ জিতে আগেই নকআউট নিশ্চিত করে ফেলা ব্রাজিল অনেকটা নির্ভার হয়েই নামবে এই ম্যাচে।
ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-
কখন?
শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টা
কোথায়?
লুসাইল স্টেডিয়াম
নজরে থাকবেন যারা
ক্যামেরুনের বিপক্ষে বদলী বেঞ্চ ঝালিয়ে দেখতে পারেন তিতে। শুরু থেকে খেলার সুযোগ পেলে গ্যাব্রিয়েল জেসুস, অ্যান্তোনি, রদ্রিগোরা কেমন করেন সেটা দেখতে মুখিয়ে থাকবে সেলেসাও ভক্তরা। কাসেমিরোর অনুপস্থিতিতে মাঝমাঠে গুইমারেস-ফ্যাবিনহো জুটি কেমন করেন সেটাও পরখ করে দেখতে পারেন কোচ। রক্ষণে দেখা মিলতে পারে জীবন্ত কিংবদন্তি দানি আলভেসের।
এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং, ভিনসেন্ট আবুবকরদের বজায় রাখতে হবে গত ম্যাচের নিখুঁত ফিনিশিং। সঙ্গে কার্ল টোকো একামবিকেও ত্রাস ছড়াতে হবে আক্রমণভাগে। মাঝমাঠে আন্দ্রে অ্যাঙ্গুইসা, মার্টিন হংলাদের খেলতে হবে নির্ভীক ফুটবল। ডিফেন্সে জন চার্লস ক্যাসটেলেট্টো, নিকোলাস এনকোলোদের অতিমাত্রায় সতর্ক থাকতে হবে দ্রুতগতির ব্রাজিলিয়ান আক্রমণ রুখতে।
সম্ভাব্য লাইন আপ
ব্রাজিল: (৪-২-৩-১): এডারসন (গোলরক্ষক), তেলেস, ব্রেমার, আলভেস, মিলিতাও, গুইমারেস, ফ্যাবিনহো, মার্তিনেল্লি, রদ্রিগো, অ্যান্তোনি, জেসুস
ক্যামেরুন: (৪-৩-৩) এপাসি (গোলরক্ষক), ফাই, ক্যাসটেলোট্টো, এনকোলো, টোলো, হংলা, অ্যাঙ্গুইসা, কুন্দে, আবুবকর, চুপো-মোটিং, একামবি
প্রেডিকশন
ব্রাজিল শক্তিমত্তায় অনেক এগিয়ে থাকলেও কাতার বিশ্বকাপে 'অঘটন' নিয়মিত ঘটনা। আফ্রিকার প্রতিনিধিরা নিজেদের উজাড় করে দেবে আরও একবার। ব্রাজিলের দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারলে সম্ভাবনা থাকবে তাদেরও। তবে শক্তির বিচারে ঢের এগিয়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
সম্ভাব্য স্কোর:
ক্যামেরুন ০-২ ব্রাজিল
অন্যান্য পরিসংখ্যান
১) বিশ্বকাপে এর আগে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল ও ক্যামেরুন। দুটি ম্যাচেই জিতেছে ব্রাজিল। ১৯৯৪ সালে ৩-০ ব্যবধানে এবং ২০১৪ সালে ৪-১ ব্যবধানে জয় পায় সেলেসাওরা।
২) তবে সবমিলিয়ে দুই দল ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে ব্রাজিল জিতেছে পাঁচবার। ২০০৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন কাপে একমাত্র জয়টি আসে ক্যামেরুনের।
৩) আফ্রিকান প্রতিপক্ষের সঙ্গে ফিফা বিশ্বকাপের সাতটি ম্যাচেই জিতেছে ব্রাজিল। যেখানে তারা গোল দিয়েছে ২০টি এবং হজম করেছেন মাত্র দুইটি।
৪) হারলে বা ড্র করলেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাবে ক্যামেরুন। এর আগে ১৯৯০ আলে প্রথম রাউন্ড পার হতে পেরেছিল তারা।
৫) বিশ্বকাপে আগের সাত আসরে কখনোই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিততে পারেনি ক্যামেরুন। দুটি ড্র ও পাঁচটি হার।
৬) ২০২২ বিশ্বকাপে এখনও কোনো শট অন টার্গেটের মুখোমুখি হয়নি ব্রাজিল। এর আগে ১৯৯৮ সালে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে কোনো অন টার্গেট শটের মুখোমুখি হয়নি ফ্রান্স।
Comments