জামালপুরে গণপরিবহন বন্ধ, দুর্ভোগে মানুষ
ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে জামালপুর জেলা সদর বাসটার্মিনাল থেকে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ আছে। বিএনপির অভিযোগ, ময়মনসিংহে সমাবেশে মানুষের স্রোত ঠেকাতেই অপরিকল্পিতভাবে এটা করেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
এ ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে নৌপথকে বেছে নিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির শামীম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের বিভাগীয় সমাবেশে মানুষের স্রোত ঠেকাতে অপরিকল্পিতভাবে গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের নেতা-কর্মীদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের চাপে বাস মালিকরা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।'
এ বিষয়ে জানতে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকি বিল্লাহর মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এদিকে পরিবহন মালিক সমিতির দাবি, সমাবেশে গাড়ি ভাঙচুর হয় বলে চালকরা সমাবেশে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে।
জামালপুর বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুব আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কেউ বাস বন্ধের নির্দেশ দেয়নি। তবে গাড়ি ভাঙচুর ও ড্রাইভারদের মারধরের শঙ্কায় তারা সমাবেশে গাড়ি নিয়ে যেতে রাজি হয়নি।'
সমাবেশকে লক্ষ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় শনিবার সকালে জামালপুর জেলা ছাত্রদলের একটি প্রতিবাদ মিছিল হয়।
এদিকে রাস্তায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রী। অনেক যাত্রী এসে বাড়ির দিকে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে যায়, শহরের ভোকেশনাল এলাকায় ঢাকাগামী বাস কাউন্টার বন্ধ, কোনো বাস নেই। একই অবস্থা বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেও। শহরের ভোকেশনাল মোড় থেকে জামালপুর-ময়মনসিংহ রুটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে, সেখানেও কোনো অটোরিকশা নেই।
ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি গ্রামের আছের আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ঢাকা যাব বলে ইসলামপুর থেকে এসেছি। কিন্তু জামালপুরে বাসটার্মিনালে কোন বাস নেই। কাল আমাকে অফিসে হাজিরা দিতে হবে। আমি অনেক বেকায়দায় পড়েছি।'
জামালপুর পৌরসভার বোসপাড়া এলাকার স্নেহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাকে আজ বিশেষ কাজে ঢাকা যেতেই হবে। কিন্তু কেমনে যাব। গাড়ি নেই।'
Comments