হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর দাবি হাবের
এ বছরের হজ ভাড়া বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তা কমানোর দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
বিমান ভাড়া প্রসঙ্গে হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, '২০১৯ সালে হজ যাত্রীদের ফ্লাইট ভাড়া ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এ বছর আমরা দাবি জানিয়েছিলাম ফ্লাইট ভাড়া ১ লাখ ২৫ হাজার নির্ধারণ করার। কিন্তু, তা বেশি করা হয়েছে।'
তিনি ফ্লাইট ভাড়া কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে আনার আহ্বান জানান।
তসলিম বলেন, 'ধর্ম মন্ত্রণালয়েরও প্রস্তাব ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। আমরা মনে করি ভাড়া আরও কমানো উচিত। এ বছর একটি সিডিউল ফ্লাইটেও কোনো হজ যাত্রী পাঠাবে না হাব। ডেডিকেটেড ফ্লাইট হলেই কেবল বাংলাদেশি যাত্রীদের ইমিগ্রেশন এখানে করা সম্ভব হবে। না হলে এটা সম্ভব হবে না।'
এর আগে, চলতি বছরের হজ ফ্লাইটের জন্য বিমান ভাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে এ কথা জানান বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
ফ্লাইট ভাড়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা জানেন জ্বালানি তেলের দাম দ্বিগুণের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা সব বিবেচনায় নিয়ে দেখেছি ভাড়া দেড় লাখ টাকা আসে। কিন্তু, হাজি সাহেবদের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা ভাড়া নির্ধারণ করেছি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সৌদি এয়ারলাইন্সও একই ভাড়া রাখবে।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বিমানের দুটি ট্রিপল সেভেল উড়োজাহাজ দিয়ে ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আমরা আপতত ধারণা করছি আগামী ৩১ মে থেকে ফ্লাইট শুরু করব। সৌদি কর্তৃপক্ষ যেহেতু স্লট দিবে তাই এটা তাদের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে।'
বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, 'বিমান এবার ৭৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট অপারেট করবে। এতে প্রায় ৩১ হাজার যাত্রী সৌদি যাবেন। বাকি অর্ধেক যাত্রী নেবে সৌদি এয়ারলাইন্স।'
করোনার কারণে গত ২ বছর সৌদি আরবের বাইরের কেউ হজ করার সুযোগ পাননি। প্রতি বছর সাধারণত ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ হজ পালনের অনুমতি পান। কিন্তু, করোনা মহামারিতে সৌদি সরকার এবার বিশ্বের ১০ লাখ মানুষকে হজে যাওয়ার অনুমতি দেবে। বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন। যদিও বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ নিবন্ধন ও প্রাক-নিবন্ধন করেছেন।
Comments