বোলারদের নাম নয় বলের মান যাচাই করে খেলেছেন জয়

টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, কাইল জেমিসন, নেইল ওয়াগনারদের সমন্বয়ে গড়া নিউজিল্যান্ডের পেস বোলিং লাইন আপ। বহু ম্যাচে বিশ্বের নামীদামী ব্যাটারদের নাকানিচুবানি খাইছে ছেড়েছেন এ বোলাররা। অথচ তাদের কী সাবলীলভাবেই না খেলে গেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। কে বলবে এটাই ছিল তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। মূলত বোলারদের নাম নয়, বলের মান যাচাই করে খেলেছেন বলেই এমন দৃঢ়তা দেখাতে পেরেছেন এ তরুণ।

রোববার মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ৪০১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ৭৩ রানের লিড পেয়েছে দলটি। তাতে এ টেস্টের দাপট বাংলাদেশেই। এ ধারা চালিয়ে গেলে বড় লিড পেতে পারে দলটি। সেক্ষেত্রে জয় সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে টাইগারদের। আর এমন ইনিংসের ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছেন জয়ই। ধৈর্যশীল ইনিংসের প্রদর্শনীতে এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন এ তরুণ।

মাত্র একটি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে খেলতে নামা জয়ের এ মানসিকতার কারণ জানালেন নিজেই। এক ভিডিও বার্তায় এ তরুণ বলেছেন, 'নিউজিল্যান্ড দলের পেস বোলিং আক্রমণ বিশ্বসেরা। ওরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী দল। আমি এক্ষেত্রে আমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করেছি। ওদের বোলারদের নাম না খেলে বল দেখে খেলার চেষ্টা করেছি।'

ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে শুধুই খোলসে ছিলেন জয় এমনও নয়, মাঝে মধ্যেই কিছুটা আগ্রাসন দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তখন সতীর্থদের কাছ থেকে পেয়েছেন শান্ত থাকার মন্ত্র, 'শান্ত ভাই আমাকে... কিছু কিছু সময় আমি শটস খেলার জন্য বেশি এগ্রেসিভ হই তখন উনি আমাকে কন্ট্রোলে থাকার জন্য বলেন। তারপর মুমিনুল ভাইয়ের সঙ্গেও আমার পার্টনারশিপ হয়, মুমিনুল ভাইও আমাকে সেইম কথাটাই বলেন। যখন বেশি ডট বল হয় তখন বলেন ডট বলে হলে প্রবলেম নাই কন্টিনিউ করতে থাকো।'

সতীর্থদের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ার মন্ত্রও জানালেন তিনি, 'ব্যাটিংয়ের শুরুর দিকে আমার আর সাদমান ভাইয়ের পরিকল্পনা ছিল যে নতুন বলটা কীভাবে পুরনো করা যায় আর বল বাই বল খেলব। আমরা যদি বেশি লম্বা চিন্তা করি তাহলে হয়তোবা সাকসেস নাও হতে পারি। কিন্তু বল বাই বল খেললে ওটাতে সফল হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি থাকে। সো, আমাদের পার্টনারশিপটা ভালোই হয়, যখন শান্ত ভাই আসে তার সঙ্গেও আমার পার্টনারশিপটা অনেক ভালোই হয়।'

ম্যাচে এদিন দারুণ সেট হয়ে গিয়েছিলেন জয়। কিন্তু তারপরও শান্ত মেজাজে ব্যাটিং করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এমন শান্ত মেজাজ ধরে রাখার কৃতিত্বটা সতীর্থদেরই দিলেন এ তরুণ, 'আমার পরিকল্পনা ছিল রানের দিকে না গিয়ে বেশি বেশি বল খেলার। আমি বেশি বল খেলতে পারলে রান এমনিতেই আসবে। আমার সঙ্গী যারা ছিল, সাদমান ভাই, শান্ত ভাই, মুমিনুল ভাই – সবাই একই কথা বলেছে। এটাই ছিল উইকেটে শান্ত থাকার কারণ।'

Comments

The Daily Star  | English

Protect our embassies, staff in India: Dhaka tells New Delhi

Condemns violent protests outside its Deputy High Commission in Kolkata

14m ago