ধৈর্যের ফল পেলেন মিরাজ

এইতো কদিন আগেই ভারতের মাটিতে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে এক ইনিংসে একাই ১০টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বাঁ হাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল। সেই স্পিনারকে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে স্কোয়াডেই রাখেনি কিউইরা। নিউজিল্যান্ডের উইকেট কেমন হতে যাচ্ছে তা অনুমিত ছিল তখন থেকেই। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের লেজ ছাঁটাইয়ের কাজটা দারুণভাবে করলেন বাংলাদেশের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজই।

বরাবরই নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন পেসারদের স্বর্গ। সেখানকার উইকেটে সফল হতে বেশ কঠিন সংগ্রামই করতে হয় স্পিনারদের। যেমনটা গতকাল পুরো দিনই করেছেন মিরাজ। ২৭ ওভার বোলিং করেও উইকেটের দেখা পাননি এ অফস্পিনার। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে পাঁচ ওভার বলেই পেয়েছেন তিনটি উইকেট। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন। আর এদিনের সফলতা এসেছে ধৈর্য ধরার কারণেই।

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টিই তুলে ধরেন মিরাজ, 'এই কন্ডিশনে স্পিন বল করা কঠিন ছিল। আমি পুরোটা সময় ধৈর্য রাখতে চেয়েছি। ঠিক জায়গায় বল ফেলেছি। তিন রানের নিচে রাখতে চেয়েছি। এটাই হচ্ছে বিষয়।'

শেষ পর্যন্ত ৩২ ওভার বোলিং করে ৮৬ রানের খরচায় তিনটি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। তার ঘূর্ণি জাদুতে ৩২৮ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা। কিউইদের দ্রুত অলআউট করতে সবচেয়ে বড় অবদান অবশ্য শরিফুল ইসলামের। মিরাজও বললেন এমনটাই, 'আমাদের বোলাররা কাল (শনিবার) ও আজ (রবিবার) ভালো করেছি। বোলারদের মধ্যে শরিফুল মঞ্চ গড়ে দিয়েছে; ৩ উইকেট নিয়েছে। ওর উইকেটগুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবমিলিয়ে আমাদের স্পিনারদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল, পেস বোলাররাও খুব ভালো করেছে।'

আগের দিনের ৫ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। মিরাজের ঘূর্ণিতে পড়ে এদিন মাত্র ৭০ রান যোগ করতে পেরেছে তারা। এরপর মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর দৃঢ়তায় ২ উইকেটে ১৭৫ রান করে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ফলে এগিয়ে আছে টাইগাররাই। মিরাজের ভাষায়, 'আমরা যখন প্রথমে শুরু করেছিলাম, ওদের ৫ উইকেট নেওয়া দরকার ছিল। ব্যাটসম্যানরাও খুব ভালো করছে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেহেতু ওপর থেকে নিয়মিত কোনো জুটি হচ্ছিল না। তাই বিষয়টা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka condemns desecration of national flag in Kolkata

Condemns violent protests outside its Deputy High Commission in Kolkata

48m ago