কিউই দুর্গ ভাঙতে দলের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান মুমিনুলের
ব্যাপারটা যদি হয় দলগত সাফল্যের, তখন নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ভালো উদাহরণ আর কারা হতে পারে। বিশ্ব ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের যতো সাফল্য তার সবই এসেছে টিম স্পিরিটের কারণেই। সেই দেশটির বিপক্ষে এবার ভালো কিছু করতে হলে একই টোটকা ব্যবহার করতে চাইছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। তাই দলের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান ঝরে অধিনায়কের কণ্ঠে।
নতুন বছরের শুরুতেই আগামীকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। যে দেশটিতে বাংলাদেশের সাফল্য শূন্যের কোঠায়। সিরিজে ভালো করা তো দূরের কথা নির্দিষ্ট কোনো ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্য রীতিমতো অভেদ্য এক দুর্গ। সব সংস্করণ মিলিয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩২ ম্যাচ খেলে সবকটিতেই হেরেছে টাইগাররা। এবার কি মিলবে সেই কাঙ্ক্ষিত জয়?
সম্ভাবনা কম হলেও আশা হারাচ্ছেন না মুমিনুল। ম্যাচ শুরুর আগে শুক্রবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'অনুশীলন বেশ ভালো ছিল। আগের রেকর্ড অতীত হয়ে গেছে, এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করে কোনো লাভ হবে না। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা করাই ভালো। সবসময় আশাব্যঞ্জক ও ইতিবাচক চিন্তা করা উচিৎ। নিউজিল্যান্ডে অবশ্যই অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ থাকবে। আগে থেকেই যদি নেতিবাচক চিন্তা করেন তাহলে ভালো ফলাফল আসবে না। যত চ্যালেঞ্জ থাকুক, আশাবাদী থাকা গুরুত্বপূর্ণ।'
একই সঙ্গে দলের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মুমিনুল। টাইগারদের অতীতের সব জয়ে দলের সবারই কম বেশি ভূমিকা ছিল। সে কাজটা আরও একবার করতে পারলে কিউই দুর্গ ভাঙা সম্ভব বলেই মনে করেন তিনি, 'আমরা যতগুলো টেস্ট জিতেছি তা দলগত পারফরম্যান্সে কারণে। সবাই ভালো না করলে ভালো ফল করা কঠিন। তখন ব্যক্তিগত অর্জন হবে, দলীয় ফলাফল হবে না। আমাদের খেলার যে প্যাটার্ন, তাতে দল হয়ে খেলা খুব জরুরী। তিন ডিপার্টমেন্টেই যেন ভালো করতে পারি।'
নিউজিল্যান্ডে বরাবরই টাইগারদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখানকার উইকেট। রীতিমতো সংগ্রাম করেন টাইগাররা। তাই সতীর্থদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান অধিনায়ক, 'আপনি নিউজিল্যান্ডে আসার আগে যেরকম চিন্তা করবেন, উইকেট এরকমই হবে। বিদেশে খেলার সময় মাইন্ড সেটআপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট খুব চ্যালেঞ্জিং হবে- এরকম চিন্তা করলে হবে না। আমার কাছে মনে হয় ব্যাটিং করলে ব্যাটাররা ভালো উপভোগ করবে, বোলাররাও বল করে মজা পাবে। প্রথম দিকে চ্যালেঞ্জ হয়ত একটু বেশি থাকবে। নিউজিল্যান্ডে সবসময় প্রথম এক-দেড় ঘণ্টা চ্যালেঞ্জিং হয়।'
Comments