নতুন বছর নিয়ে রোমাঞ্চিত মুমিনুলের কণ্ঠে আশার সুর
অনেকগুলো ম্যাচ আর সিরিজ জিতলেও সামগ্রিক বিচারে শেষ হতে যাওয়া ২০২১ সালটা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। বিশেষ করে, আরও একবার টেস্ট সংস্করণে সঙ্গী হয়েছে একরাশ হতাশা। তবে রাত পোহালেই শুরু হতে যাওয়া নতুন বছরের জন্য রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। ভালো শুরুর প্রত্যাশা শোনা গেল তার কণ্ঠে।
এ বছর সাত টেস্ট খেলে বাংলাদেশ পেয়েছে কেবল একটি জয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। মুমিনুলের নেতৃত্বাধীন দল হেরেছে পাঁচ ম্যাচে। ড্র হয়েছে বাকিটি। তলানিতে থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্র শেষ করেছে বাংলাদেশ। নতুন চক্রের শুরুতেও নেই আশাবাদী হওয়ার উপকরণ। দেশের মাটিতে সবশেষ সিরিজে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে তারা।
আসন্ন ২০২২ সালের শুরুতেই ভীষণ কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। যাদের মাঠ বাংলাদেশের জন্য রীতিমতো অভেদ্য এক দুর্গ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে কিউইদের মাটিতে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। সব সংস্করণ মিলিয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩২ ম্যাচ খেলে সবকটিতেই হার।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে প্রথম টেস্ট শুরুর আগের দিন শুক্রবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল অবশ্য জোর দেন ভবিষ্যতের দিকে, 'নতুন বছর নিয়ে রোমাঞ্চিত। আগে কী হয়েছে এসব নিয়ে চিন্তা না করে সামনের বছর কীভাবে ভালো করে শুরু করা যায়, এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আসলেই আমি খুব উত্তেজিত। শুরু ভালো হলে বাকিটাও ভালো যায়।'
'নতুন বছরে ভালো শুরুর কথা আমি সবসময়ই বলব। এই বছর যদি খারাপও যায়, দশ নম্বর হই, পরের বছর অধিনায়ক থাকলে আবারও আমি একই কথা বলব। আমি কখনই খারাপ চিন্তা করব না, ভালো চিন্তাই করব। খারাপ হলেও ভালো চিন্তা করব।'
আগামী বছর কঠিন সব প্রতিপক্ষের মাটিতে টেস্ট খেলতে হবে বাংলাদেশকে। মার্চ-এপ্রিলে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। তবে মুমিনুল আগেই চাপ না নিয়ে এগোতে চান ধাপে ধাপে, 'আপাতত ২০২২ নিয়ে এত চিন্তা করছি না। এই সিরিজে কতটা ভালো খেলতে পারি, এটা নিয়েই চিন্তা করছি। এক বছরে টেস্টে কেমন করবেন, এসব ভাবা খুব কঠিন। সামনে কঠিন সব কন্ডিশনে খেলব। ছোট ছোট লক্ষ্য তৈরি করে এগিয়ে যাওয়াই ভালো।'
'বাংলাদেশকে ভালো অবস্থানে নিতে চাই। ভুলগুলো থেকে বের হয়ে ভালো খেলতে চাই।'
Comments