সাভারে ইভ্যালির ৪টি ওয়্যার হাউজ সিলগালা
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ৪টি ওয়্যারহাউজ পরিদর্শন করে তা সিলগালা করে দিয়েছেন হাইকোর্টের গঠিত পরিচালনা বোর্ড।
আজ সোমবার দুপুরে সরেজমিনে ইভ্যালির স্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখতে সাভারের আমিনবাজার এলাকার পিংক ফুড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও বলিয়াপুর এলাকায় অবস্থিত ইভ্যালির ৪টি ওয়্যার হাউজ পরিদর্শন করেন বোর্ড। এরপর সেগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ও পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সঙ্গে এ সময় বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাংবাদিকদের বলেন, 'আজকে আমাদের তৃতীয় বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় ইভ্যালির কি পরিমাণ সম্পদ আছে। এখন আমরা সরেজমিনে ইনভেন্টরি করবো, এরপর অডিট হবে। প্রাথমিকভাবে যতটুকু দেখা যায় আমরা সেটি দেখেছি। বিষয়টি অনেক সময় সাপেক্ষ, অনেক কিছুই করার আছে, অনেক কিছু দেখার আছে।'
তিনি আরও বলেন, 'হাইকোর্ট আমাদেরকে দুটি অপশন দিয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া যদি সম্ভব হয় এবং অপরটি হচ্ছে অডিটের মাধ্যমে সম্পদের পরিমাণ নির্ণয় করে গ্রাহকের পাওনা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ইভ্যালির ওয়্যার হাউজগুলো পরিদর্শন এবং অডিটের মাধ্যমে সব সম্পদ নিয়ন্ত্রণে আনব।'
বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবীর মিলন বলেন, 'আমরা আসলে দ্বিতীয় অপশনটি এই মুহূর্তে চিন্তা করছি না, আমরা আশাবাদী। যদি ব্যবসাটি চালিয়ে যেতে পারি সেটাই মঙ্গলজনক হবে। তবে, সেটি এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। প্রথমে আমরা প্রতিষ্ঠানটির সম্পূর্ণ আর্থিক চিত্র তুলে আনার চেষ্টা করব। আমরা আশ্বস্ত করতে পারি এখানে চুল পরিমাণ ব্যত্যয় থাকবে না। প্রথমেই আমরা প্রতিষ্ঠানটির সার্ভার আপ করার ব্যবস্থা করব। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক চিত্র তুলে আনব। এখন আমরা তথ্যগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি, এরপর অডিট হবে।'
মাহবুব কবীর মিলন আরও বলেন, 'এছাড়া ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্সসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে হাইকোর্ট অনুমোদিত অডিট ফার্মকে দেব। অডিট ফার্ম তাদের অডিট করবে এবং অডিটের ওপর ভিত্তি করেই আমরা সামনে অগ্রসর হব। আমাদের মূল লক্ষ্য এখান থেকে সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য তুলে এনে একটি সঠিক প্রতিবেদন তৈরি করা।'
তিনি আরও বলেন, 'ইভ্যালির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন বিক্ষিপ্তভাবে আছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের একসঙ্গে এনে তাদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করতে। এ ছাড়াও, ইভ্যালির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের কাছে থাকা তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে রাখার জন্য অনুরোধ করছি।'
উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের এক কমিটি গঠন করে ইভ্যালি পরিচালনা করার আদেশ দেন।
Comments