কাভার্ড ভ্যানেও ফিরছে মানুষ!
চলমান লকডাউনের মধ্যে আগামীকাল রোববার থেকে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে শ্রমিকরা বাধ্য হয়েই ট্রাকে, পিকআপে, নসিমন, করিমন, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার, ট্রাক্টরে করে যে যেভাবে পারছেন কর্মস্থলে ছুটছেন। এমনকি কাভার্ড ভ্যানের ভেতরে দমবন্ধ হয়েই ফিরতে হচ্ছে অনেককে।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কয়েকটি কাভার্ড ভ্যানে কয়েকশ কারখানা শ্রমিককে কর্মস্থলের দিকে যেতে দেখা গেছে। একেকটি কাভার্ড ভ্যানে ২০ জনেরও বেশি যাত্রী পরিবারসহ গাদাগাদি করে বসেছেন।
একটি কাভার্ড ভ্যানের চালকের সহকারী লোকমান হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত কয়েকদিন ধরেই এভাবে যাত্রী আনা-নেওয়া চলছে। মানিকগঞ্জ থেকে নবীনগর-সাভারগামী কাভার্ড ভ্যানে ২০ থেকে ২২ জন করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৩০০ টাকা।
কার্ভাড ভ্যানে বন্দি হয়ে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের বেশিরভাগই গার্মেন্টস শ্রমিক ও তাদের পরিবার। রাজবাড়ি, কুষ্টিয়া, মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পদ্মা পার হয়ে দৌলতদিয়া দিয়ে ফিরছেন তারা।
পোশাক শ্রমিক আবিদা আক্তার ওই কাভার্ড ভ্যানে করে ফিরছেন কর্মস্থলে। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লকডাউন দিলেন আবার কারখানা খুলছেন কেন? আমরা এখন কী করবো?'
কাভার্ড ভ্যানের আরেক যাত্রী পোশাক শ্রমিক সাথী আক্তার জানান, দৌলতদিয়া পার হয়ে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত কোনোভাবে এসেছেন। এখন কাভার্ড ভ্যানে করেই নবীনগর যাবেন।
এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. গোলাম আজাদ খান বলেন, 'মানিকগঞ্জ অংশে সড়ক-মহাসড়ক এবং দুটি ফেরিঘাটে আমরা চেকপোস্ট বসিয়েছি। সরকারি নির্দেশনা শতভাগ পালনের চেষ্টা করছি। কিন্তু, ফেরিতে যদি হাজার হাজার নারী, পুরুষ, শিশু আমাদের ঘাটে চলে আসেন, তখন আমাদের আর কী করার থাকে! মানবিক কারণেই তাদের ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। যাত্রীদের অধিকাংশই পোশাক কারখানার শ্রমিক। কারখানা খোলার কারণেই তারা কর্মস্থলে যাচ্ছেন।'
Comments