৪ উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ ইউজিসির, নীরব মন্ত্রণালয়
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গত দেড় বছরে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর তা তদন্ত করে অন্তত চার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
অভিযোগগুলো সত্য প্রমাণিত হওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত উপাচার্যদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে দেশের এই সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটে বলে জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।
অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এবং রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)।
ইউজিসি যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন, তাদের মধ্যে রাবি ও নোবিপ্রবি উপাচার্য তাদের মেয়াদ শেষ করেছেন এবং বেরোবি উপাচার্যের মেয়াদ শিগগিরই শেষ হতে চলেছে। তীব্র সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কেবল বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যই ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করেছেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহ বলেন, ‘তদন্তের পরে দোষী সাব্যস্ত করার পরেও উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এ ধরনের নিষ্ক্রিয়তা হতাশাজনক।’
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এটি একটি ভুল বার্তা এবং এক প্রকার দায়মুক্তি দেয়। এর ফলে অন্য শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসকরা মনে করবেন যে, অন্যায় করার পর তারাও বিনা শাস্তিতে ছাড় পাবেন।’
ইউজিসির এক সদস্য জানান, তদন্তের পরে যদি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তবে এই উপাচার্যরা আবারও এ ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ পেতেন না।
ইউজিসির এই সদস্য বলেন, ‘তাদের মধ্যে কয়েকজন শাস্তির অভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।’
ইউজিসি বর্তমানে এই চারটি ছাড়াও অন্যান্য অর্ধডজনেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ তদন্ত করছে।
প্রমাণের পরেও কোনো ব্যবস্থা নেই
গত অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে রাবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ইউজিসি।
তদন্ত প্রতিবেদনে কমিশন উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী এম জাকারিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম শিথিল করে’ নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৪ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলেরও সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উপাচার্য অন্য ৩৪ জনের সঙ্গে তার মেয়ে ও জামাইকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য নিয়ম শিথিল করেন।
ডিসেম্বরে মন্ত্রণালয় রাবিতে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ করে দিয়ে মেয়ে ও জামাইয়ের নিয়োগ কেন বাতিল করা হবে না, এই বিষয়ে উপাচার্য সোবহানকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পৃথক আদেশে রাবিতে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে ইউজিসি কমিটিকে যথাযথভাবে সহায়তা না করায় অধ্যাপক আবদুল বারীকে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার পদ থেকে অপসারণের জন্য উপাচার্যকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে।
‘ডিসেম্বরে বারী তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু, এরপর থেকে উপাচার্য ও অন্যদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো শাস্তি নিতে দেখা যায়নি’, কমিশনের একজন সদস্য বলেন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেও কোনো নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে ৬ মে আবদুস সোবহান উপাচার্য হিসেবে তার শেষ কার্যদিবসে ১৩৭ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেন।
ইউজিসির কমিটি রাবির এই তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ সদস্যদের বিরুদ্ধে ২৫ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সোবহান বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ১৮ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডু-প্লেক্স ভবন দখল করেছিলেন। প্রতিবেদনে ওই ভবনের জন্য উপাচার্য থেকে পাঁচ লাখ ৬১ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করার সুপারিশ করা হয়।
গত বছরের অক্টোবরে সোবহান একটি সংবাদ সম্মেলন করেন, যেখানে তদন্ত দলের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং এটিকে ‘একতরফা ও পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে আখ্যা দেন।
সোবহান জানান যে, তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ ‘অর্থহীন, মিথ্যা ও মনগড়া’। তিনি অভিযোগ করেন, একদল লোক তাকে সরানো এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করে ইউজিসির তদন্ত কমিটি। কমিটি রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুটি ১০তলা ভবন নির্মাণে অনিয়মের প্রমাণ পায়।
২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এক ভার্চুয়াল সম্মেলনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে শেখ হাসিনা ছাত্রী হল এবং ড. ওয়াজেদ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণের উদ্বোধন করেন।
গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাথমিক ব্যয় ছিল ২৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। কিন্তু, বাজেট বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬১ কোটি টাকা। ছাত্রীদের হল নির্মাণের জন্য প্রায় ৫১ কোটি ৩৫ লাখ বরাদ্দ দেওয়া হলেও ব্যয় দ্বিগুণ হয়ে ১০৭ কোটি টাকা করা হয়েছে বলে তদন্ত কমিটি জানায়।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়ে যে, প্রায় ৪০ লাখ টাকা পরামর্শ (কনসালটেন্সি) ফি হিসেবে ব্যয় করা হয়েছে। যদিও মূল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনায় এ বিষয়ে বরাদ্দ ছিল না।
ঢাকায় ৪ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে কলিমুল্লাহ তার বিরুদ্ধে অনিয়ম প্রমাণের ইউজিসির প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও বানোয়াট’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিনা দ্বিধা ছাড়াই বলেছি যে, শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি আমার প্রতি ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জন্য ইউজিসিকে দিয়ে মনগড়া ও পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন তৈরি করতে বাধ্য করেছেন।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কলিমুল্লাহর এই বক্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে নিন্দা জানায়। ইউজিসি জানায় যে, কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার সময় তারা কারও প্রভাব ছাড়াই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেছে।
‘ইউজিসির আরেকটি তদন্ত দল কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে এখন ৪৫টি অভিযোগ তদন্ত করছে। আমরা আশা করছি তদন্ত দল শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে’, ইউজিসির এক সদস্য বলেন।
এই ৪৫টি অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো— ক্যাম্পাসে উপাচার্যের অনুপস্থিতি; দুর্নীতি, অসঙ্গতি ও জনবল নিয়োগকে ইউজিসির নির্দেশিকা লঙ্ঘন; কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে বৈষম্য; বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক পদ অননুমোদিতভাবে দখল করে রাখা এবং বিভিন্ন কেনাকাটায় অনিয়ম।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সালের এপ্রিলে তৎকালীন উপাচার্য ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পর মন্ত্রণালয় শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ নিষিদ্ধ করে।
সূত্রটি জানিয়েছে, ইউজিসির তদন্ত দল সম্প্রতি এ বিষয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
‘প্রতিবেদনটি দেখার পরে আমি জানতে পারি তিনি (ওয়াহিদুজ্জামান) এক কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি গাড়ি কিনেছেন, যদিও এর জন্য ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল।’
‘তিনি (ওয়াহিদুজ্জামান) নতুন বিষয় খোলার ক্ষেত্রে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের চেয়ে অন্যান্য বিষয় খোলার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন, এটি ছিল সন্দেহজনক’, সূত্রটি আরও যোগ করে।
যোগাযোগ করা হলে ওয়াহিদুজ্জামান জানান, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলো মিথ্যা এবং অভিযোগকারীদের বেশিরভাগ সই-ই ভুয়া ছিল। তিনি বলেন, ‘চালক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং দীর্ঘ সময়ে যাতে ব্যবহার করা যায়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি গাড়িটি এক কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কিনেছিলেন এবং গাড়িটি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে।’
সাবেক এই উপাচার্য আরও জানান, তিনি যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ও ইউজিসির অনুমোদনক্রমে সব বিষয় খুলেছেন।
এই ধরনের প্রমাণের পর ইউজিসি কী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইউজিসির এক সদস্য জানান, তারা সাধারণত উপাচার্যদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সেটির ধরন নির্দিষ্ট করে দেয় না। সাধারণত তারা সুপারিশ করেন যে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাদেরকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা ঠিক নয়।
তবে, একটি ক্ষেত্রে কমিশন একজন উপাচার্যকে অপসারণের সুপারিশ করেছে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইউজিসি তদন্ত কমিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য খোন্দকার মো. নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায় এবং তাকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করে।
তদন্ত কমিটির এক সদস্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শিক্ষার্থী ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগ এবং কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি।’
২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নাসিরউদ্দীন পদত্যাগ করেন। তবে, ইউজিসি তাকে যে অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য দোষী বলে চিহ্নিত করেছিল, তার বিপরীতে এখনো কোনো শাস্তির মুখোমুখি হননি তিনি।
বারবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও এই সংবাদদাতা নাসিরউদ্দিনের কাছ থেকে মন্তব্য নিতে পারেননি।
‘একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া’
যোগাযোগ করা হলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘অনিয়মের জন্য যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
‘যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, যারা তাদের মেয়াদ শেষ করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব আমরা।’
‘আমরা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা যদি আর্থিক অনিয়ম ও অপব্যবহার খুঁজে পাই, তবে অভিযোগগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠাব’, তিনি বলেন।
মহিবুল জানান, নিয়োগে অনিয়ম বিষয়ে মন্ত্রণালয় যখন ব্যবস্থা নিতে চায়, তখন তাদেরকে ‘দীর্ঘ প্রক্রিয়া’র মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
‘যেহেতু উভয় পক্ষ থেকে আমাদের যুক্তি শুনতে হবে, তাই সময় দরকার’, বলেন তিনি।
ইউজিসির তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকিগুলোতে প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থী এবং ১৫ হাজার শিক্ষক রয়েছেন।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন সুমন আলী
Comments