‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ ও সমঝোতা’

'একটি অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও পারস্পরিক সমঝোতা।'
আজ সোমবার ঢাকার মোহাম্মদপুরে ওয়াইডব্লিউসিএ মিলনায়তনে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট আয়োজিত 'রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতা' শীর্ষক বিভাগীয় কর্মশালায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) স্বপন কুমার সাহার সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই বিভাগীয় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠন ব্রতীর প্রধান নির্বাহী ও নির্বাচন বিশ্লেষক শারমিন মুর্শিদ, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর শরিফুল হক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী তৌফিক জিল্লুর রহমান।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, 'সম্প্রতি গুলশানে একটি উপ-নির্বাচন হয়েছে। আমরা সেই নির্বাচনেও সহিংসতা দেখেছি। ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল খুবই কম। নির্বাচন বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সরকার চায়, সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে। বিরোধীরা চায় নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক। এই অবস্থার উত্তরণের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সমঝোতা প্রয়োজন।'
ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'আমাদের দেশ নিয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নতুন নয়। এটা বন্ধ করাও কঠিন। আমরা জিম্মি হয়ে গেছি। এর থেকে মুক্তি পেতে দেশে একটিভ সিটিজেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। রাতারাতি কিছুই করা সম্ভব হবে না।'
সোহরাব হোসেন বলেন, 'সরকার যদি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ওপর প্রভাব বিস্তার না করতো, তাহলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হতো না। এখন দেশে একজন আমলাও পাবেন না, যিনি প্রভাবমুক্ত থেকে নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবেন।'
শারমিন মুর্শিদ বলেন, 'নির্বাচন কমিশনে যারা আসেন, তারা অভিজ্ঞতা নিয়ে আসেন না। কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে ওখানে রাখা হচ্ছে না। নতুন নতুন ব্যক্তিরা এসে নতুন নতুন নিয়ম-কানুন করে ফেলছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য ফেমা ও ব্রতীকে অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। কেন দিলো না, তাও বলেনি। এটাও বড় প্রশ্ন।'
স্বপন কুমার সাহা বলেন, 'পাঁচ বছর পর পর যখনই নির্বাচন আসে, তখনই একটি সংকট তৈরি হয়। বিদেশিদের হস্তক্ষেপ থাকে। কোনো কোনো দল তা লুফেও নেয়। এটা একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের জন্য সুখকর নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা দরকার। যাতে নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা দেখা না দেয় এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।'
Comments