ধর্ষণের অপরাধে গৃহশিক্ষকের যাবজ্জীবন
ধর্ষণের অপরাধে রাজু আহমেদ (৩০) নামে এক গৃহশিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা কারাদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এএম জুলফিকার হায়াৎ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল। তারপরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, কারণ যে শিশুর জন্ম হয়েছে সে আসামির পিতৃ পরিচয়ে বেড়ে উঠবে। শিশুটি যেন স্নেহ-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত না হয় এসব বিষয় বিবেচনায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিচার কাজ চলাকালে আসামি যত দিন হেফাজতে ছিলেন তা সাজা হিসেবে বিবেচিত হবে। আজিমপুরের সোনামণি নিবাসে থাকা শিশুটির ২১ বছর বয়স পর্যন্ত যাবতীয় খরচ রাষ্ট্র বহন করবে, বলেন আদালত।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, আসামি শিশুকে ধর্ষণ করে জঘন্য অপরাধ করেছেন। গৃহশিক্ষক হিসেবে শুধুমাত্র পাঠদান তার দায়িত্ব ছিল। অথচ অভিভাবকের অবর্তমানে তিনি একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ তাদের যুক্ততর্ক উপস্থাপন শেষ করেছেন। এই মামলায় আদালত বাদীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় ২০১৭ সালে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ফলে ওই শিক্ষার্থী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে এবং তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
ওই ঘটনায় শিক্ষার্থী মা বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৭ মে পুলিশ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
Comments