পাড়া-প্রতিবেশীদের সতর্ক করে নিজেই ভেসে গেলেন বন্যার পানিতে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২ দিন আগেও বন্যার ভয়াবহতা নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছিলেন। অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা হলে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরামর্শ দিয়েছিলেন। এমনকি, প্রশাসনের কাছে দাবিও জানিয়েছিলেন, স্থানীয় স্কুল-কলেজগুলোকে বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দিতে। অথচ সেই মানুষটিই মারা গেলেন বন্যার স্রোতে ভেসে।
জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ চট্টগ্রামের বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে অতিবৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে গ্রামে পানি ঢুকে গেলে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের নিয়ে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন জারিফ। কিন্তু পথিমধ্যে বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন।
আজ দুপুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জারিফ আমিরাবাদ ইউনিয়নের জুলফিকার আলী ভুট্টোর ছেলে। তিনি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, 'এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়লে জারিফ পরিবারের সদস্যসহ প্রতিবেশীদের নিয়ে সোমবার মধ্যরাতে স্থানীয় জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। পথে তিনি একটি গর্ত লাফ দিয়ে পার হতে গিয়ে পড়ে যান এবং প্রবল স্রোতে ভেসে যান।'
এরপর জারিফ প্রায় ১২ ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'আজ দুপুর ৩টার দিকে তার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় এবং আমরা মরদেহটি উদ্ধার করি।'
Comments