মানিকগঞ্জে করোনা হাসপাতালে শয্যা ১০০, রোগী ১৬৯
মানিকগঞ্জের একমাত্র কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে শয্যা রয়েছে মোট ১০০টি। এর বিপরীতে সেখানে ভর্তি রয়েছেন ১৬৯ জন রোগী। শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের অধীন কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দুই রোগীকে লিফট ও সিঁড়ির কাছাকাছি স্থানে বসিয়ে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।
তাদের স্বজনরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, বেডের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি। এ কারণে তারা বেড পাননি। তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেড তৈরি করে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
কোভিড কেবিনের ইন-চার্জ কাকলী চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে শয্যা রয়েছে মোট ১০০টি। আজ দুপুর পর্যন্ত এখানে ভর্তি রয়েছেন ১৬৯ জন। এর মধ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৩ জন এবং ১১৩ জন রয়েছেন আইসোলেশনে।'
তিনি জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৪ জন। এ ছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন চার জন। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন একজন এবং উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে ছিলেন তিন জন।
মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত তিন দিনে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৪ জন। এতে দেখা যায়, গত ২৩ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ জন, ২৪ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৯ জন।
সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা তাদের আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। রোগীর তুলনায় শয্যা সংখ্যা কম থাকায় মেঝেতে বিছানা করেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।'
'এরপরও যদি রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে যায়, তাহলে ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালটিকেই কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হবে' বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ দিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জে ৭৭৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৬৯ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
আজ দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রফিকুন নাহার বন্যা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নতুন আক্রান্ত ১৬৯ জনের মধ্যে সিংগাইরে ৫১ জন, মানিকগঞ্জ সদরে ৩০ জন, সাটুরিয়ায় ২৫ জন, শিবালয়ে ২৫ জন, ঘিওরে ১৫ জন, হরিরামপুরে ১৩ জন এবং দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছেন ১০ জন।'
তিনি আরও বলেন, 'জেলায় এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৫১টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ১৬৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৭৯১ জন। আক্রান্তরা হাসপাতাল ও নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৪ জন।'
Comments