কাপ্তানবাজারে অগ্নিকাণ্ড: পুড়ে গেল ১০ হাজার মুরগি

আগুনের ঘটনায় কাপ্তানবাজারের অন্তত ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

রাজধানীর গুলিস্তানের কাপ্তানবাজারে আজ শনিবার ভোরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আনুমানিক ১০ হাজার মুরগি মারা গেছে। ভোর পৌনে ৫টার দিকে কাপ্তানবাজারে এ আগুন লাগে।

কাপ্তানবাজার-ঠাঁটারিবাজার মালিক ঐক্য পরিষদের নির্বাহী সদস্য আল-আমিন হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাপ্তানবাজারে আমার ৩টা মুরগির দোকান ছিল। দোকানের প্রায় সাড়ে ৬০০ মুরগি আগুনে পুড়ে মারা গেছে।'

'এই বাজারে খুচরা ও পাইকারি উভয় ধরনের মুরগির দোকান আছে' উল্লেখ করে তিনি জানান, ভোরের আগুনে এখানকার ৩০টি মুরগির দোকানের সবগুলোই পুড়ে যায়। এতে অন্তত ৮ থেকে ১০ হাজার মুরগি মারা গেছে।

সাটারের ভেতরে খাঁচায় থাকায় বেশিরভাগ মুরগি বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

অনেক পাইকারি দোকানে ৫০০ থেকে ৭০০ মুরগি ছিল বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'ভোরে আগুন লাগায়, মুরগিগুলো সবই ছিল দোকানের শাটারের ভেতরে। এতে করে বেশিরভাগ মুরগি বাঁচানো সম্ভব হয়নি।'

কাপ্তানবাজারের মুরগির দোকান নোয়াখালী স্টোরের স্বত্বাধিকারী জসীমউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বাসা বাজারের পাশেই। আগুন লাগার খবর পেয়ে দোকানের শাটার খুলি। কিন্তু প্রচণ্ড তাপ ও ধোঁয়ার কারণে খাঁচাগুলো খুলতে পারিনি। মুরগিগুলোকে বাঁচাতে পারিনি।'

তার দোকানে অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ মুরগি ছিল বলে জানান তিনি।

বাজারের আরেক মুরগি ব্যবসায়ী বাবর আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার দোকানে আগুনে পুড়ে দুই থেকে আড়াইশ মুরগি মারা গেছে।'

তবে আগুন নির্বাপনকারীদের সহযোগিতায় তিনি প্রায় দেড়শ মুরগি বাঁচাতে পেরেছেন বলে জানান।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়।

এ ঘটনায় কাপ্তানবাজারের অন্তত ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে মুরগি, মুদি, চাল ও স্টেশনারির দোকান ছিল বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Fire service & civil defence: High-risk job, low pay

Despite risking their lives constantly in the line of duty, firefighters are deprived of the pay enjoyed by employees of other departments, an analysis of their organograms shows.

5h ago