কেন্দ্রীয় কারাগারগুলোতে বড় ঈদ জামাতের প্রস্তুতি
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসায় দেশের কেন্দ্রীয় কারাগারগুলো বড় ঈদ জামাতের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ চন্দ্র ঘোষ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ২ বছর করোনার কারণে কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে ছোট করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার করোনার প্রকোপ কমে আসায় জেলখানার ভেতরে মাঠে বড় করে ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ঈদ উদযাপনে বন্দিদের স্বজনরা কারাগারে নতুন পোশাক পাঠাতে শুরু করেছেন। প্রতি বছরের মতো এবারও কারাগারে বন্দিদের জন্য ঈদের দিন ৩ বেলায় বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হবে। তবে স্বজনরা বাড়ি থেকে তৈরি খাবার পাঠাতে পারবেন কি না সে সিদ্ধান্ত হয়নি।
করোনা মহামারির আগে ঈদের দিন বাড়ি থেকে তৈরি খাবার পাঠানো যেত।
কারা সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার বন্দি আছেন। তাদের জন্য ঈদের দিন সকালে পায়েস ও মুড়ি, দুপুরে পোলাও, রোস্ট এবং রাতে পোলাও-মাংস, সালাদ, পান সুপারি ও কোল্ড ড্রিংসের ব্যবস্থা থাকবে। বন্দিদের সঙ্গে আত্মীয়-স্বজনের সাক্ষাতের ব্যবস্থা থাকবে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, অন্যান্য বারের মতো চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে এবং উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। অনেক বন্দিদের আত্মীয়-স্বজন নতুন পোশাক পাঠাতে শুরু করেছে। অন্যান্য জেলের মতো এখানেও বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫০ টাকা বরাদ্দ আছে ঈদের খাবারের জন্য।
রংপুর, সিলেটসহ একাধিক কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সবাই জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হওয়ার কারণে কারা অভ্যন্তরে বড় করে ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হবে।
দীর্ঘ দিন কারা ভোগের পর মুক্ত হয়েছেন মোশারফ হোসেন। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, কারাগারে ঈদের দিন বিশেষ দিন হিসেবে পরিচিত। ঈদের জামাতে বন্দিরা একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন। যারা তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে নতুন পোশাক পান তারা নতুন পোশাক পরেন। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং অনেকটা সময় গল্প করে কাটান।
Comments