‘তালেবানদের অবশ্যই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে’

আফগানিস্তান টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটির চিফ অব স্টাফ জালাল শামস। ছবি: সংগৃহীত

তালেবানরা নতুন করে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর দেশটি মানবিকসহ নানাবিধ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ মুহূর্তে দেশটির কোষাগার প্রায় শূন্য। যুক্তরাষ্ট্র তাদের ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ আটকে দিয়েছে। বিদেশি দাতা সংস্থাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে অনুদান।

এ অবস্থায় সুনিশ্চিত অর্থনৈতিক পতনের মুখোমুখি আফগানিস্তান। এই পতন ঠেকাতে তাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থা কেমন হবে? অভ্যন্তরীণ রাজস্ব দিয়ে তালেবানরা কতদিন টিকে থাকবে?

পাকিস্তান ও চীনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে তালেবান। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির মানবিক পরিস্থিতি ও মানবাধিকার। রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তনের এই ক্রান্তিকাল দেশটির উন্নয়ন খাতসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে একটি হলো দ্রুত বর্ধনশীল টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস।

জালাল শামস গত ২ বছর ধরে আফগানিস্তান টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটির (এটিআরএ) চিফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করছেন। আফগানিস্তান সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এএসডিপি) আন্তর্জাতিক বিষয়ক ও মিডিয়া সম্পর্কের বর্তমান উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন তিনি। দেশটির চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগান সরকারের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে জালাল শামসই প্রথম কোনো বিদেশি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

আফগানিস্তান টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটির সভা। ছবি: সংগৃহীত

দ্য ডেইলি স্টার: ক্ষমতা দখলের পর দেশের আমলাতন্ত্র তালেবানদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করছে?

জালাল শামস: ১৯৯০ এর দশকের তুলনায় এবার তালেবানকে পরিণত মনে হচ্ছে। এবার তারা দেশ পুনর্গঠনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়ার আগে আমলাদের মূল্যায়ন করছে এবং তাদের সঙ্গে কথা বলছে। আগে তারা এটা করেনি।

ডেইলি স্টার: ১৯৯৬ এর তালেবান এবং বর্তমান তালেবানদের মধ্যে কী পার্থক্য লক্ষ্য করছেন? কীভাবে আপনি তাদের সঙ্গে কাজ করছেন?

জালাল শামস: ১৯৯৬ সালে যখন তালেবান প্রথম ক্ষমতা দখল করে, তার আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসন এবং বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সে সময়ে আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠান, কোনো ব্যবস্থা, অবকাঠামো কিছুই ছিল না। তাই তখন তালেবানদের পক্ষে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করা সহজ ছিল। কিন্তু এখন ২০২১ সালে এসে আমাদের একটি উন্নয়নশীল দেশ আছে, আমাদের অবকাঠামো আছে, আমাদের প্রতিষ্ঠান আছে, আমাদের সরকার ব্যবস্থা আছে। সুতরাং, তালেবানদের পক্ষে এখন তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সরকার পরিচালনা করা খুব কঠিন। তাদের অবশ্যই বর্তমান উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

ডেইলি স্টার: তালেবানরা আফগানিস্তান টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটিতে (এটিআরএ) নতুন কী পরিবর্তন এনেছে?

জালাল শামস: আফগানিস্তান টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি (এটিআরএ বা আত্রা) একটি স্বাধীন সংস্থা বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। আত্রা পরিচালনায় একজন চেয়ারম্যান, ২ জন ডেপুটি (টেকনিক্যাল এবং অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) এবং ৫ সদস্যের একটি নির্বাহী বোর্ড আছে। তালেবানরা দেশ দখলের পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী আত্রার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন। এই একটি পদেই কেবল পরিবর্তন এসেছে। বাকি কর্মীরা সবাই যার যার জায়গাতেই আছেন এবং স্বাভাবিকভাবে কাজ করছেন।

ডেইলি স্টার: রাজনৈতিক এই সংকট দেশের টেলিযোগাযোগ পরিষেবাকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করছে?

জালাল শামস: বিগত সরকারের সময় টেলিযোগাযোগ সেবার প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আফগানিস্তানে ৯ হাজারটিরও বেশি টেলিকম টাওয়ার আছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০টিরও বেশি টাওয়ার বন্ধ রাখা হয়েছিল। কারণ তালেবানরা সেগুলোর দখল নিয়েছিল। একই কারণে বিগত কয়েক বছরে গণি সরকার আরও ১ হাজার টাওয়ার ধ্বংস করে। তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর এখন আর নিরাপত্তা হুমকি নেই এবং এগুলো ২৪ ঘণ্টাই পরিষেবা দিচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে তালেবান সরকারের আমলে টেলিকম খাতের আরও উন্নয়ন হবে।

ডেইলি স্টার: আত্রায় দেশজুড়ে কতজন কর্মকর্তা কাজ করছেন এবং তাদের মধ্যে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা কত? তালেবানরা আসার পরে কি তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে?

জালাল শামস: আত্রায় মোট ৩৫০ জন কর্মকর্তা কাজ করছেন। তাদের মধ্যে নারী আছেন প্রায় অর্ধশতাধিক। তালেবানরা নারী কর্মকর্তাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। যে সব নারী কর্মকর্তাদের জায়গায় পুরুষ কর্মকর্তারা কাজ করতে পারবে, সেখানে তালেবানরা নারীদের ছাঁটাই করতে পারে এবং বাকিদের স্বপদে বহাল রাখতে পারে।

নারীদের বাইরে কাজ করার বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির কাজ করছে তালেবান। তবে গত মাসেও আমাদের নারী কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন দেওয়া হয়েছে।

ডেইলি স্টার: আফগানিস্তানে কয়টি বিদেশি ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি কাজ করছে? তারা কি সেবা চালু রেখেছে? তালেবান সরকার কীভাবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে?

জালাল শামস: বর্তমানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অপারেটর আফগান টেলিকমসহ আফগানিস্তানে ৫টি সক্রিয় টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ৬০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী (আইএসপি) প্রতিষ্ঠান আছে এবং এডব্লিউসিসি, রোসান, এমটিএন ও এতিসালাত এই ৪টি মোবাইল অপারেটর পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে।

আগের সরকারের সময় দেশে যুদ্ধ চলা সত্ত্বেও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আফগানিস্তানের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে টেলিকম খাতে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের বিপুল বিনিয়োগ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অস্বস্তিকর হলেও, শিগগির আমাদের দেশটি শান্তিপূর্ণ হবে। তালেবানরাও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আফগানিস্তান টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটির সভা। ছবি: সংগৃহীত

ডেইলি স্টার: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পেতে তালেবান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য পাকিস্তান ও চীন কী করছে?

জালাল শামস: পাকিস্তান ও চীন এখনো তালেবান অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে এই সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আফগানিস্তানে এই ২ দেশের দূতাবাস খোলা আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। কারণ ৯০ এর দশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তালেবানদের কোনো পারস্পরিক স্বার্থ ছিল না। এ কারণে কয়েকটি দেশ ছাড়া কেউ তখন তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু এখন তালেবানরা আইএসআইএসের (দায়েশ) মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

আমি মনে করি, শিগগির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে। কারণ তারাই প্রথম আফগান সরকার ছাড়া তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল।

ডেইলি স্টার: আপনি বলতে চাইছেন, তালেবানরা আইএস এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কিন্তু যাদের সঙ্গে তালেবানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে কীভাবে তাদের অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠী থেকে আলাদা করা হবে এবং কেন?

জালাল শামস: এটা সত্য যে তালেবানরা আল কায়েদা এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের জন্য প্রধান হুমকি আইএস। ৯০ এর দশকে আল কায়েদা ছিল প্রধান হুমকি। এখন আল কায়েদার অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে বেশ কিছুদিন ধরে আইএস তালেবানদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।

আগে আল কায়েদা বা তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আফগান সরকার, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা পারস্পরিক স্বার্থ ছিল। কিন্তু এখন দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। এখন আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করাই সবার পারস্পরিক স্বার্থ।

আগে তালেবানরা আফগানিস্তানের স্বাধীনতার জন্য অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এখন যেহেতু দেশ বিদেশি শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে, তাই তালেবানরা অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে কেন থাকবে?

ডেইলি স্টার: এবার অন্য বিষয়ে কথা বলি। তালেবানরা কেন সব জাতিগোষ্ঠী নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করেনি?

জালাল শামস: এটা সত্য যে যখনই কোনো সরকার বা রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদল হয়, তখন মন্ত্রীসভাসহ সব গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার পদে পরিবর্তন আসে। তবে এবার তালেবানদের নিয়োগ দেওয়া মন্ত্রীপরিষদের সদস্য ও প্রদেশের গভর্নরদের মধ্যে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ আছে। তবে বেশিরভাগ কর্মকর্তাই যে পশতুন, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সরকারের অধীনে যে ৫ থেকে ৬ লাখ কর্মচারী আছেন, তারা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর।

ডেইলি স্টার: আমরা অনেক আফগান নারী, কাবুলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছেন, গত ২০ ধরে প্রজাতন্ত্রের আমলে পাওয়া শিক্ষার অধিকার, কাজ করার অধিকার, পোশাকের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক মানবাধিকার তারা হারিয়েছেন। তারা বলছেন, তালেবানরা ১ হাজার ৫০০ বছর আগের কঠোর শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে, যা ইরান বা পাকিস্তানের মতো অন্যান্য ইসলামিক দেশেও কার্যকর নেই। তালেবানরা তাদের স্বপ্ন হরণ করছে। তালেবানরা কেন এমন করছে?

জালাল শামস: হ্যাঁ, এটা সত্য যে বর্তমানে আফগান নারীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু বাস্তবতা হলো তারা প্রজাতন্ত্র আমলে যে স্বাধীনতা ভোগ করেছে, তা ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্বের চাপিয়ে দেওয়া গণতন্ত্রের স্বাধীনতা। কিন্তু আমাদের নিজস্ব মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও রীতিনীতি আছে, যা ইসলামের সঙ্গে গভীর সম্পর্কযুক্ত। তবে পৃথিবী বদলে গেছে। ৯০ এর দশকে তালেবানরা কঠোর শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছিল। কারণ তখন কোনো স্বাধীন গণমাধ্যম বা মিডিয়া ছিল না। একটা মোবাইলও  ছিল না। আজ আমাদের ৩০ মিলিয়নেরও বেশি মোবাইল গ্রাহক, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। এর মাধ্যমে আফগানরা গোটা বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে। এখন মানুষ তাদের অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলতে পারে, প্রতিবাদ করতে পারে। একজন তরুণ আফগান হিসেবে আমি বলতে পারি, আমরা এখন নিজেরদের অধিকার রক্ষার জন্য যথেষ্ট পরিপক্ক। অধিকার আদায়ের জন্য দরকার হলে আমরা সবাই মিলে প্রতিবাদ করব।

ডেইলি স্টার: আফগানিস্তানের কোষাগার এখন প্রায় শূন্য। যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ৯ বিলিয়ন ডলার আটকে দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীর সাহায্য, যা ছিল আপনাদের বাজেটের প্রায় ৮০ শতাংশ। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য তাদের সন্তানদের বিক্রি করছে। এ অবস্থায় তালেবানরা কতদিন টিকে থাকতে পারবে বলে আপনি মনে করেন?

জালাল শামস: এটা নির্ভর করছে তালেবান নেতৃত্বের ওপর। তারা কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে তার ওপর। আগের সরকারের আমলে আমাদের জাতীয় বাজেট ছিল প্রায় ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ৬০ শতাংশই তালেবানদের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য বরাদ্দ ছিল। এখন আর সেই অর্থের প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বা জাতীয় রাজস্ব প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা দেশ চালানোর জন্য যথেষ্ট বলে আমি মনে করি।

ডেইলি স্টার: তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। অনেকের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষের হাতে তরল অর্থ না থাকলে সরকার এই ৩ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব কীভাবে আদায় করবে?

জালাল শামস: আমি আগেই বলেছি দেশে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ আছে, সমৃদ্ধ অবকাঠামো আছে। আমাদের অনেক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ব্যবসা আছে। আমাদের অর্থনীতির চাকা বর্তমানে সচল আছে। আগের সরকারের আমলে নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যেই মানুষ বিনিয়োগ করেছিল। এখন আমরা শান্তিপূর্ণ আফগানিস্তানের দিকে যাচ্ছি। আমাদের মাটির নিচে সঞ্চিত আছে ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের খনিজ পদার্থ। আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান এমন জায়গায় যে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৌশলগত ভাবেই আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্ত হব। এ সবকিছুই আফগানিস্তান পুনর্গঠন করতে এবং অর্থনীতি শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka slams desecration of nat’l flag in Kolkata

The government yesterday strongly condemned the desecration of Bangladesh’s national flag and the burning of Chief Adviser Prof Muhammad Yunus’s effigy in Kolkata as “deplorable acts”.

1h ago