আমি কোনো সিন্ডিকেটে নেই: ফারহান

মুশফিক আর ফারহান। ছবি: সংগৃহীত

গেল ঈদে মুশফিক আর ফারহানের অভিনয় করা ৭টি নাটক টেলিভিশন চ্যানেল ও ইউটিউবে প্রচার হয়েছে। ভিউ ও প্রশংসার দিক থেকে 'হাঙ্গর', 'ভুলোনা আমায়', 'প্রয়োজন', 'নসিব', 'ওয়েডিং ক্রাশ' নাটকগুলো অন্যতম। গত বছর ঈদে 'সুইপারম্যান' নাটক আলোচিত হয়েছিল তার। ঈদের নাটক, বর্তমান ব্যস্ততা, নাট্যাঙ্গণের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

দ্য ডেইলি স্টার: আপনার অভিনীত ঈদের নাটকগুলোই এবার বেশ আলোচিত। ভিউয়ের দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে।

ফারহান: আমার অভিনীত এবারের নাটকগুলোর গল্প ও চরিত্রগুলোতে ভিন্নতা ছিল। আর এবার খুব কম নাটকে অভিনয় করেছি। এ কারণে মানুষ আমার নাটকগুলো পছন্দ করেছে। প্রতিটা নাটকে খুব যত্ন নিয়ে কাজ করেছি। চরিত্রগুলো অনুধাবন করার চেষ্টা করেছি। অমানুষিক পরিশ্রম করেছি নাটকগুলোর চরিত্রের জন্য। কষ্ট সার্থক হয়েছে, দর্শক কাজগুলো পছন্দ করেছে, ভালোবেসেছে।

ডেইলি স্টার: অভিনেতারা জনপ্রিয় হলে বেশি নাটকে অভিনয় করেন, আপনি কমিয়ে দিলেন। কারণ কী?

মুশফিক আর ফারহান। ছবি: সংগৃহীত

ফারহান: আমি চেয়েছি ভালো গল্প, ভালো চরিত্রে মনোযোগ দিয়ে অভিনয় করতে। সেই কারণে কম সংখ্যক নাটকে অভিনয় করেছি। আসলেই চরিত্রগুলোতে মনোযোগী হওয়ার জন্য এটা করেছি। 'হাঙ্গর' নাটকের শুট হয়েছে কক্সবাজারে। গরমের মধ্য শুটকি পল্লীতে শুট করা আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। 'ভুলোনা আমায়' নাটকের শুটিং হয়েছে বাগেরহাটে। সেখানে খাবার পানির সমস্যার মধ্যেও শুটিং করেছি। ধানখেতের কাদার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থেকে শুটিং করতে হয়েছে। এইভাবে বেছে বেছেই এখন থেকে নাটক করতে চাই।

ডেইলি স্টার: তাহলে তো আয়ের দিক থেকে অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে থাকবেন।

ফারহান: পিছিয়ে থাকি সমস্যা নেই। তবুও ভালো ভালো কাজ করতে চাই। ভালো কাজের স্বপ্ন দেখি। এই কারণে নিজের একটা গাড়ি হয়নি। পরিবারের গাড়ির উপর নির্ভর করতে হয়। তবু আমি খুশি।

ডেইলি স্টার: এখনকার নাটকে জোর করে জুটি তৈরি আর সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়। এটা কীভাবে দেখেন?

ফারহান: দর্শক যার সঙ্গে গ্রহণ করে পরিচালকরা তাদের নিয়ে কাজ করে। এখানে জুটি বলে কিছু নেই। আমি কোন সিন্ডিকেটের মধ্যে নেই। আমি সবসময় ভালো অভিনয় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমি বড় কোনো শিল্পী নই। কাজ করে যাচ্ছি দর্শক পছন্দ করছে--এইতো।

Comments

The Daily Star  | English

$14b a year lost to capital flight during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

12h ago