শরিফুল-তাসকিনদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গিবসন
প্রথম ঘণ্টায় নজরকাড়া বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরেছিলেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। পরের দিকে উইকেট ফ্ল্যাট হয়ে যাওয়ায় রান আসতে থাকে সহজে। ইবাদত হোসেন বাকি দুইজনের মতো কার্যকর হতে না পারলেও শেষবেলায় এনে দেন টম ব্লান্ডেলের উইকেট। সবমিলিয়ে পেসাররা নেন ৩ উইকেট। এই পারফম্যান্স আহামরি না হলেও বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন কৃতিত্ব দিচ্ছেন শিষ্যদের।
শনিবার মাউন্ট মঙ্গানুইতে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৫৮ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই তাদের অধিনায়ক টম ল্যাথামকে বিদায় করা বাঁহাতি শরিফুল পরে আউট করেন অভিজ্ঞ রস টেইলরকে। তিনি দুই দিকেই বল মুভ করান। তাসকিন উইকেট না পেলেও সুইং ও মুভমেন্ট আদায় করে নেন। তবে ইবাদত ছিলেন কিছুটা খরুচে। তার বোলিং থেকে রান নিতে তেমন বেগ পেতে হয়নি প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের।
দিনের প্রথম ঘণ্টায় ১ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড তুলতে পারে কেবল ১৫ রান। ল্যাথামের পর ফিরতে পারতেন কনওয়েও। শরিফুলের ডেলিভারিতে তার বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার্স কলের কারণে এলবিডব্লিউ হওয়া থেকে বেঁচে যান তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ও দেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি।
দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গিবসন বাংলাদেশের পেসারদের প্রশংসায় মাতেন, 'আমি মনে করি, ফাস্ট বোলারদের সবাই কঠিন ও তাদের জন্য অপরিচিত কন্ডিশনে ভালো বল করেছে। কনওয়ের বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের ভালো একটি আবেদন ছিল। অন্য কোনো দিনে মাঠের আম্পায়ার তাকে হয়তো আউট দিয়ে দিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ছোট-খাটো ব্যাপারগুলোই ব্যবধান তৈরি করে দেয়। সব ফাস্ট বোলার কঠোর পরিশ্রম করেছে।'
তিন পেসারের সঙ্গে সফরকারীদের একাদশে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পেসারদের নিয়ে গর্বিত গিবসন তার ভূমিকাকেও তুলে ধরেন, 'ছেলেরা যেভাবে লড়াই করেছে তা নিয়ে আমি গর্বিত। ফাস্ট বোলাররা চেষ্টা করে গেছে। মিরাজ দারুণ করেছে। এক প্রান্ত থেকে সে রানের চাকা থামিয়ে রেখেছিল এবং অন্য প্রান্ত থেকে ফাস্ট বোলারদের কাজ চালিয়ে যাওয়া সহজ করেছে।'
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড। তাদের বিপক্ষে সবুজের ছোঁয়া থাকা উইকেটে প্রথম দিনে পেসাররা নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে বলে মত গিবসনের, 'আমরা প্রচুর পরিমাণ সুইং করানোর জন্য কাজ করছি। দেখে থাকবেন যে আজ সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে সবাই সুইং পেয়েছে। সকালে আমরা অনেক ফুলার লেংথে বল পিচ করেছি এবং বিমান থেকে ক্রাইস্টচার্চে নামার পর থেকে এটা নিয়েই প্রচুর কাজ করে যাচ্ছি। আমি খুশি যে আজ সকালে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আমরা হয়তো আরও উইকেট পেতে পারতাম। তবে আমরা বিশ্বের সেরা টেস্ট দলের বিপক্ষে তাদের মাটিতে খেলছি। আর কনওয়ে খুবই ভালো খেলেছে।'
উল্লেখ্য, চোট কাটিয়ে ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা শরিফুল ২০ ওভারে ৫ মেডেনসহ ৫৩ রানে নেন ২ উইকেট। ইবাদত ১৫.৩ ওভারে ১ উইকেট নিতে খরচ করেন সমান সংখ্যক রান। বাংলাদেশের তরুণ পেস আক্রমণের নেতা তাসকিন উইকেটশূন্য আছেন ২০ ওভারে ৬১ রান দিয়ে। অফ স্পিনার মিরাজ পাননি উইকেট। তিনি ২৭ ওভারে দেন ৭২ রান।
Comments