জয়ের মাঝে বড় খেলোয়াড়ের আভাস দেখছেন মুমিনুল
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আলো ছড়িয়ে প্রথম নজর কাড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটের ধাপ পেরিয়ে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তুলেছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে জাতীয় দলে তার অভিষেকটা আশাব্যঞ্জক না হলেও তাকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
বছর দুয়েক আগে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন জয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ম্যাচে তার নৈপুণ্যে যুবারা উঠেছিল ফাইনালে। তখনই ধারণা পাওয়া গিয়েছিল তার সামর্থ্য সম্পর্কে। বাংলাদেশ দলে ডাক পাওয়ার আগে জাতীয় লিগে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে ৪১.৭৮ গড়ে করেন ৩৭৬ রান। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি পেয়েছিলেন একটি।
ঘরের মাঠে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের শুরুটা অবশ্য রাঙাতে পারেননি জয়। বাংলাদেশের ২৪তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেকে শূন্য রানে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাউন্ডারিতে রানের খাতা খুললেও ফুটওয়ার্কের দুর্বল ব্যবহারে আউট হন তিনি। ৬ বলে ৬ রানে থামে তার দৌড়।
পাকিস্তান সিরিজের পর নিউজিল্যান্ড সফরের টেস্ট স্কোয়াডে আছেন জয়। মূল লড়াই শুরুর আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেয়েছেন তিনি। ১৩১ বলে ১১ চারের সাহায্যে তিনি খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস। ফলে মাউন্ট মঙ্গানুইতে সিরিজের প্রথম টেস্টে সাদমান ইসলামের সঙ্গে তার ওপেনিংয়ে জুটি বাঁধা একরকম নিশ্চিত।
ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগের দিন শুক্রবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কাপ্তান মুমিনুল শোনান জয়কে নিয়ে তার ভাবনা, 'অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যখন ১০০ করল, তখনই দেখে ভালো লেগেছিল। আমি ওকে নিয়ে খুবই আশাবাদী।'
'আমার কাছে মনে হয়, ও বাংলাদেশের সুপারস্টার হতে পারে। ওর সামনে এভাবে না বলাই ভালো। কিন্তু আমি ওকে নিয়ে মুগ্ধ। ওকে নিয়ে আশাবাদী। ওর বড় খেলোয়াড় হওয়ার সুযোগ আছে।'
আগামীকাল শনিবার বে ওভালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও সফরকারী বাংলাদেশ। প্রথম দিনের খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায়।
Comments