অসুস্থ জীবন
সুস্থতা সবারই কাম্য। এই ছোট্ট জীবনে সবাই আমরা সুস্থভাবে বাঁচতে চাই। আমরা চাই নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের প্রতিটি সদস্যই যেন সুস্থ থাকে। কিন্তু তারপরও দেখা যায়, প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো কারণে অসুখ-বিসুখ হানা দেয়, হয়তো খুব কঠিন কোনো অসুখ নয় সামান্য জ্বর বা ঠা-া, হয়তো বা তা ডায়রিয়া; হয় আবার সেরেও যায়। কিন্তু ছোট ছোট অসুখ আমাদের শরীরকে অনেকভাবে হোঁচট খাওয়াতে পারে। তাই যেকোনো সময় শরীর খারাপ হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে সঠিক চিকিৎসা নেয়ার বিকল্প নেই। বিশেষ করে কোনো অসুখ যদি বার বার হতে থাকে তবে তা ভয়ের কারণ বৈকি।
তবে নিজেরা একটু সচেতন থাকলেই কিন্তু অনেক অসুখ থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি। এজন্য ছোট ছোট অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। এটা যেমন নিজের ক্ষেত্রে প্রযোজন্য তেমনি বাসার ছোটবড় সবার জন্য। বিশেষত বাইরে থেকে এসে সাবান দিয়ে হাতমুখ, পা ধোয়া, খাওয়ার আগে এরং পরে ভালো করে হাত ধোয়া, নিয়মিত গোসল করা। খাওয়ার আগে এবং পরে হাত ধোয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ হাত থেকেই ময়লা এবং জীবাণু মুখ দিয়ে শরীরের ভেতরে সংক্রমিত হয়। যা মারাত্মক হতে পারে। ডায়রিয়া, পেটের ইনফেকশন কিন্তু এজন্য হয়। এর থেকে আরো বড় কিছুও হতে পারে। এজন্যই আমরা ব্যবহার করতে পারি এমন সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ যা জীবাণুর সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে।
ভাইরাল ফিভার
জ্বর কোনো অসুখ নয়, অসুখের উপসর্গ মাত্র। নানা কারণে জ্বর হতে পারে। তবে অধিকাংশ জ্বরই কোনো না কোনো জীবাণুর সংক্রমণের ফলে হয়। এই জীবাণুর নানা ধরন রয়েছে। যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস,
ফাঙ্গাস...। সাধারণত জ্বর হয় দুটি কারণে। মূলত এই কারণ দুটি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া। এর মধ্যে যে জ্বর বা সংক্রমণ ভাইরাসের কারণে সংঘটিত হয়ে থাকে, তাকেই বলে ভাইরাল ফিভার। ভাইরাল ফিভারের কতগুলো সাধারণ উপসর্গ রয়েছে। যেমন হঠাৎ জ্বর আসা, সে সঙ্গে হাত-পা-গায়ে ব্যথা, মাথা ঘোরা, মাথা যন্ত্রণা করা। আবার বিশেষ ভাইরাসের ক্ষেত্রে রোগীর বিশেষ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। গলায় ব্যথা, গলার ভেতর লাল হয়ে যাওয়া, গলা ফুলে যাওয়া, কাশি হওয়া, সর্দি হওয়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, গা ব্যথা করা, বমি করা, খিদে কমে যাওয়া, ত্বকে র্যাশ ইত্যাদি।
ভাইরাল ফিভার থেকে কিছু ক্ষেত্রে নানা জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, ডায়রিয়া, সাইনোসাইটিস, অ্যাজমা, ব্রেনে ইফেক্ট করলে তার থেকে প্যারালাইসিস হতে পারে। অনেক সময় দুই-চার সপ্তাহ বাদে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে চলাফেরাতে অসুবিধা হতে পারে।
ভাইরাল ফিভার রোগের একটি উপসর্গ। প্রথম এক-দু’দিনের জ্বরে এতে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। এই এক-দু’দিনের জ্বরে জ্বরের ওষুধ এবং শরীরে ব্যথা হলে, ব্যথা কমার ওষুধ খাওয়া উচিত। এই সময় রোগীর একটু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এ সময় ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হলে বৃষ্টিতে ভেজা উচিত নয়। কড়া রোদে বেরোনো থেকে বিরত থাকা, শরীরে ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গে সেই ঘাম মুছে ফেলা, খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিকভাবে করা, নিউট্রিশনের দিকে নজর দেয়া উচিত। ইমিউনিটি ঠিক থাকলে এই ইমিউনিটি দিয়েই ভালো হয়ে যায় ভাইরাল ফিভার। জ্বর হলে কখনই জ্বর বাড়তে দেয়া উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে ভালো করে গা-হাত-পা স্পঞ্জ করে, মাথা ধুয়ে, বাতাস করে জ্বর কমানো উচিত। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা। জ্বর থেকে যেহেতু অন্য অসুুখের দিকে মোড় ঘুরতে পারে, তাই সতর্ক হয়ে জ্বরের চিকিৎসা করান। জ্বর বেশিদিন ধরে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন। সুস্থ থাকুন।
ডায়রিয়া
ডায়রিয়া ছোট-বড় সবার জন্যই মুশকিলের। অল্পতে না সারলে তা ক্রনিক আকারে হয়ে যায়। বড়দের যেমন, তেমন ছোটদের জন্য ডায়রিয়া বেশ অস্বস্তিকর। আর অল্পতেই ডিহাইড্রেশন হয়ে যায়। তাই একদমই অবহেলা নয়। খেয়াল করা অবশ্যই প্রয়োজন যে কতবার বাথরুম হচ্ছে এবং কেন হচ্ছে তার কারণ খুঁজে বের করা। মূলত খাবার এবং পানি থেকেই এ ধরনের অসুখ হয়ে থাকে। তাই বাড়িতে খাবার পানির বিশুদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। ছোটরা বাথরুম থেকে বের হলে যেন সাবান দিয়ে হাত ধোয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হাত ধোয়া ছাড়া যেন কোনো খাবার না খায়, এটা শেখাতে হবে। কোনো কিছু খাওয়ার আগে তারা যেন বিশুদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হয়। রাস্তার খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন। যে খাবারে সমস্যা মনে হচ্ছে তা থেকে বিরত থাকুন।
ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন শুরু থেকেই খেতে হবে। অতিরিক্ত হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করুন। এছাড়া রাইস স্যালাইন পোলাও চালের জাউ, সেদ্ধ ডিমের সাদা অংশ, কাঁচাকলা আপনার ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আনবে। বাচ্চাদের খুব দ্রুত ডিহাইড্রেশন হয়, তাই স্যালাইনের পানি খাওয়ান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গলাব্যথা
হঠাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠেই গলা ব্যথা অনুভব করতে পারেন। হয়তো শরীরে ঠা-া লাগা ছিল, টনসিলও দুর্বল, আর বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে বেশ আইসক্রিম আর ঠা-া ড্রিঙ্কস খাওয়া হয়ে গেছে, ব্যস তার অ্যাফেক্ট সকাল থেকেই শুরু! ঢোক গিলতে সমস্যা, খেতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কুসুম কুসুম গরম পানি পান করুন। লবণ পানিতে তিন বেলা গার্গল করুন। লিকুইড খাবার খান। আরামবোধ হবে আর ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেক করুন কেন গলা ব্যথা হচ্ছে। ওষুধ সেবন করুন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। ইনফেকশন থেকেও গলাব্যথা হতে পারে। প্রয়োজন হতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক। আদা ছেঁচে পানি গরম করে চায়ের মতো করে খান।
পেটে ইনফেকশন
বিভিন্ন কারণে পেটে ইনফেকশন হতে পারে। পানি এবং খাবারে কোনো সমস্যার কারণে পেটে ইনফেকশন হতে পারে। আবার গ্যাস্ট্রিক আলসার দীর্ঘদিন ধরে থাকলেও পেটে ইনফেকশন হয়। যাদের পেটে কোনো কারণে অপারেশন হয়েছে, অনিয়মে চললে সেখানেও ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।
নরমালি হঠাৎ ডায়রিয়ার সঙ্গে বমি উপসর্গ দেখা দিলে বুঝতে হবে পেটে সমস্যা হয়েছে। চটজলদি তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং
সে অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। স্যালাইন পান করুন। পেটে ব্যথা যদি ঘন ঘন হয় তাহলে ডাক্তারের কাছে যান। প্রয়োজনে টেস্ট করিয়ে অসুখের কারণ বের করুন, যেন সঠিক চিকিৎসা করানো যায়।
শ্বাসনালিতে ইনফেকশন
শ্বাসনালিতে ভাইরাল ইনফেকশন হলে সেটাই নিউমোনিয়া হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভাইরাস ফুসফুসের সারফেস লাইনিং নষ্ট করে দেয়ায় মিউকসলি ইমিউনিটি কমে যায়। তাই ব্যাকটেরিয়া গ্রোথ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিউমক্কাল নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া থেকে এই সমস্যা দেখা যায়। বাচ্চাদের ফুসফুসের রোগ থাকলে যেমন অ্যাজমা, সিস্টিক ফাইব্রোসিস সেখানে শরীরে সিক্রেশন চটচটে হয় বলে শ্বাসনালিতে ফুসফুসে ইনফেকশন হয়। শ্বাসনালি ও খাদ্যনালি জোড়া থাকলে নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। খাবার অনেক সময় শ্বাসনালিতে ঢুকে যায়। বমি হতে পারে। যাদের ধুলায় অ্যালার্জি, তাদের ধুলা এড়িয়ে চলা ভালো। যদিও সম্ভব হয় না। এ থেকেও আমাদের শ্বাসনালি অ্যাফেক্ট হয়। ধূমপান করলে এবং ধূমপায়ীদের আশপাশে থাকলেও শ্বাসনালি বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকেন।
* ছোটরা বড়দের চেয়ে দুর্বল, সেজন্য বাচ্চাদের এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। তাই কিছুটা সতর্ক থাকলে সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
* এমন ঘরে বাচ্চাকে রাখুন যেখানে আলো, হাওয়া-বাতাস রয়েছে।
* যথেষ্ট পরিমাণ ফ্লুইড যেন বাচ্চা পায়, খেয়াল রাখুন। নরমাল নিউট্রিশিয়াস ডায়েট যথেষ্ট।
* গুড ফিডিং হ্যাবিটস গড়ে তোলা খুবই জরুরি।
* মুখ ও ঠোঁটের চারপাশে নীল হলে ও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এলে অবহেলা করবেন না।
* বাচ্চাকে অতিরিক্ত ঠা-া বা অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করাবেন না।
* ধুলো-ময়লা পরিবেশ থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। ধূমপান এবং ধূমপায়ীদের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
ত্বকে ইনফেকশন
ত্বকে নানা কারণে ইনফেকশন হতে পারে। ত্বক নানা ধরনের হয়। তাই ত্বকভেদে ইনফেকশনও হয় ভিন্ন। বিশেষ করে সিজন চেঞ্জের সময় ত্বকের ইনফেকশন বেশি দেখা যায়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকার ফলে ত্বকে কেরাটিন স্তর শুষ্ক হয়ে ফাটতে শুরু করে। ফলে নানা ধরনের ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণ হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের স্কিন ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা আরও বেশি থাকে।
সোরিয়াসিস হলে ত্বক স্বাভাবিকের তুলনায় মোটা হয়ে যায়। হাত-পায়ের ছোট গাঁটগুলোয় ব্যথা হয়। এছাড়া শরীরে ছোট-বড় আকারের লাল লাল চাকা হয়। চুলকানি হয়। সোরিয়াসিস হলে কোলভার, ইমোলিয়েন্ট জাতীয় স্টেরয়েড ত্বকে লাগানো যেতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।
অ্যাটপিক ডার্মাটাইসিস ত্বকের আরেক ধরনের ইনফেকশন। সারা শরীরে বিশেষ করে গাল, কনুই, হাতের ভাঁজে হাঁটুর পেছনে লাল লাল ফোস্কার মতো হয়, বেশ চুলকায়। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আগে চুলকানি কমাতে হবে। আর ইমোলিয়েন্ট লাগিয়ে ত্বক নরম ও মসৃণ রাখতে হয়।
ত্বক ভালো রাখার কিছু পরামর্শ
* যেসব বাচ্চার ত্বক রুক্ষ ও খসখসে তাদের জন্য গ্লিসারিনসমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করুন।
* সপ্তাহে দু’বার শ্যাম্পু করানো উচিত, চুল পরিষ্কার থাকে।
* বাচ্চাকে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন গাজর, ব্রকলি, কুমড়ো, ডিম, দুধ, পালংশাক, পেঁপে খাওয়ান। এছাড়া ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবারও মেন্যুতে রাখুন।
* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। পরিষ্কার কাপড় পরুন।
ঘামাচি
গরমে নানা ধরনের স্কিন র্যাশ দেখা যায়, হিটর্যাশ বা অ্যাকিউট সানবার্ন বেশিক্ষণ রোদে থাকলে বা সরাসরি রোদে থাকলে ফোস্কার মতো লাল প্যাচ দেখা যায়। এর সঙ্গে জ্বালা করে, চুলকায়। মিলিরিয়া বা ঘামাচি খুব বেশি ঘাম হলে রোমকূপের মুখগুলো ঘাম জমে বন্ধ হয়ে যায়, ফলে গুঁড়ি গুঁড়ি ঘামাচি দেখা যায়। চুলকানি হয়। চুলকাতে চুলকাতে অনেক সময় ঘা হয়ে যায়। তাই বাচ্চাদের এ সময় পাতলা কাপড় পরানো উচিত। পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। ঠা-া, খোলামেলা পরিবেশে থাকুন। ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে দু’বার গোসল করুন। পরিচ্ছন্ন থাকুন। লিকুইড জাতীয় খাবার বেশি পান করুন।
চোখে জ্বালাপোড়া
চোখের নানা সমস্যায় অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান, দেরি করবেন না একদমই। অনেক সময় বাতাসে ধুলোবালির কারণে চোখে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঠা-া পানির ঝাপটা উপকার করতে পারে। পরিষ্কার রুমালে চোখ-মুখ মুছে ফেলুন, চোখে রেস্ট দিন। মোবাইল, কম্পিউটার বা টিভির দিকে বেশি সময় তাকিয়ে থাকলে চোখে জ্বালা হয়। তাই এ অভ্যাসগুলো কমিয়ে ফেলুন। ছোটদের ব্যস্ততা টিভি-ফোনে বেশি। বিরত রাখুন এখন থেকেই সময় বেঁধে দিন এবং না ঘুমালেও চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ থাকুন। এক্ষেত্রে ভেজা তুলো বা শসা কেটে চোখের ওপর দিয়ে রাখতে পারেন। বেশি সমস্যায় ডাক্তারের কাছে যান।
ঠাণ্ডা
ঘরে ঘরে ঠাণ্ডা লাগা এখন খুব কমন অসুখ। অ্যালার্জি থেকেই সর্দি-কার্শি হয়, ধুলো-ময়লা বা ঠাণ্ডা কিছু খাবার নিয়মের বাইরে বেশি খেলে সমস্যা হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অল্পতেই ওষুধ খান, নইলে আবার অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করতে হবে। এছাড়া গরম পানি পান, রং চা গার্গেল, ভাপ নেয়া প্রাথমিক এই চিকিৎসাগুলো ঘরে বসে নিতে পারেন। সঙ্গে তুলসী-আদার চা আরাম দেবে।
ব্রণ
সেনসেটিভ ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা যায়। অনেকের প্রচুর ব্রণ হয় এবং তা নখের আঁচড়ে অনেক সময় দাগ পড়ে যায়। তাই ব্রণ হলে একদমই হাত দেবেন না। ভালো বিউটি এক্সপার্টের কাছ থেকে পরামর্শ নিন। অয়েলি ফুড কম খান। প্রচুর পানি বা পানি-জাতীয় খাবার খান। ত্বকের যতœ নিন। আলাদা টাওয়াল ব্যবহার করুন। তেল মুখে এলে মুছে ফেলুন। ধুলো-ময়লা থেকে দূরে রাখুন নিজেকে। সুস্থ থাকুন।
রাহ্নুমা শর্মী
Comments